অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিষিদ্ধ হল সোশ্যাল মিডিয়া। নয়া আইন এনে গোটা বিশ্বের মধ্যে নজির গড়ল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের মতে "শিশুদের শৈশব ফিরিয়ে দেওয়ার" জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার থেকে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে চালু হবে নতুন আইন। মঙ্গলবারই বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের কাছে আইনের বিষয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য বাবা ও মায়ের মানসিক শান্তি পুনরুদ্ধার করা এবং তরুণ অস্ট্রেলিয়ানদের এমন একটি ডিজিটাল জগৎ থেকে রক্ষা করা যা তাদের পক্ষে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আইনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল - নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য অভিভাবক বা শিশুরা কোনও শাস্তি পাবে না। শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ সংস্থাকে। বারবার একই ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট অ্যাপ সংস্থাকে ৪৯.৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
২০২৫ সালের শুরুর দিকে সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে অস্ট্রেলিয়ার ৯৬ শতাংশ শিশু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে এবং প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজন ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর মুখোমুখি হয়েছে। যেমন নারী-বিদ্বেষী এবং হিংসাত্মক বিষয়বস্তু থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাসের ব্যাধি এবং আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয় এমন পোস্ট।
এখনও পর্যন্ত দশটি প্ল্যাটফর্মকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে - ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, থ্রেডস, টিকটক, টুইচ, এক্স, ইউটিউব, কিক এবং রেডডিট। প্রয়োজন অনুসারে তালিকাটি আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় তরুণ প্রজন্মকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখার জন্য বিল আনা হয়। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, 'এই পদক্ষেপ ১৬ বছরের নীচের নাবালক-নাবালিকাদের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। আমরা আগে থেকেই বলতে চাই এটি সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে না। তবে এটি একটি সামাজিক বার্তা পাঠাবে যা সমাজের উন্নতির ক্ষেত্রে উপযুক্ত বলে মনে করি'।
যদিও অস্ট্রেলিয়ান সরকারের এই আইনের বিরোধিতা করেছেন এক্স কর্তা এলন মাস্ক সহ অন্যান্য অ্যাপ কর্তৃপক্ষ। মাস্ক বলেন, "সমস্ত অস্ট্রেলিয়ানদের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করার একটি গোপন উপায় বলে মনে হচ্ছে।" বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্ম অভিযোগ করেছে যে এতে মানুষের বাকস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন