মোবাইলে ভারত সরকারের 'সঞ্চার সাথী' (Sanchar Saathi) অ্যাপ প্রি-ইনস্টল করা বাধ্যতামূলক নয়। বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত নির্দেশ প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। বহু বিতর্কের পর বুধবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমেরিকান প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল সহ বিভিন্ন সংস্থাকে জানানো হয়েছিল নতুন মোবাইল ফোনে সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত অ্যাপ 'সঞ্চার সাথী' প্রি-ইনস্টল করতে হবে। যা নিয়ে আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাগুলি। এরপরই বুধবার এক বিবৃতি জারি করে পূর্বের বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত নির্দেশ প্রত্যাহারের কথা জানাল কেন্দ্র।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দেওয়া ছাড়া অ্যাপটির অন্য কোনও কাজ নেই। সরকার স্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে, তাঁরা (গ্রাহকেরা) যখন খুশি অ্যাপটি সরিয়ে ফেলতে পারেন।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই প্রসঙ্গে জানান, "যদি আপনি এই অ্যাপ আপনার ফোনে রাখতে চান, তাহলে এটি রাখুন। যদি আপনি এটি মুছে ফেলতে চান, তাহলে তাই করুন। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি একটি ফোন কিনবেন, তখন অনেক অ্যাপ আগে থেকে ইনস্টল করা থাকে। গুগল ম্যাপও আসে। এখন, যদি আপনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতে না চান, তাহলে এটি মুছে ফেলুন"।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টেলি যোগাযোগ বিভাগের (Department of Telecommunications - DoT) নির্দেশিকায় বলা হয়, ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে ৯০ দিনের মধ্যে, ভারতে বিক্রির জন্য তৈরি বা আমদানি করা সমস্ত মোবাইল হ্যান্ডসেটে সরকারের সাইবার নিরাপত্তা অ্যাপ্লিকেশন - সঞ্চার সাথী - প্রি-ইন্সটল করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের এই নির্দেশের পরেই বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই অ্যাপ ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। কার্যত নাগরিকদের মোবাইলে নজরদারি চালানোর জন্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ইজরায়েলি ‘স্পাইঅয়্যার’ পেগাসাসের সঙ্গে এর তুলনা টেনে গতকাল বলেন, "সঞ্চার সাথী একটি গুপ্তচরবৃত্তির অ্যাপ, এবং স্পষ্টতই এটি হাস্যকর। নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার আছে। সরকার সবকিছু না দেখে পরিবার এবং বন্ধুদের কাছে বার্তা পাঠানোর জন্য প্রত্যেকেরই গোপনীয়তার অধিকার থাকা উচিত।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন