ফের বড়সড় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বিশ্ববিখ্যাত ই-কমার্স সংস্থা আমাজন (Amazon)। মানবসম্পদ বিভাগ (এইচআর), যা অভ্যন্তরীণভাবে People experience and Technology (PXT) নামে পরিচিত, সেই বিভাগ থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে আমাজন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম Fortune-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে এইচআর বিভাগ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে। তবে আমাজনের অন্যান্য শাখাতেও ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
ঠিক কতজন কর্মী ছাঁটাই হবে তা এখনও নিশ্চিত করে জানায়নি সংস্থাটি। এর আগেও সংস্থাটি কনজিউমার ডিভাইস গ্রুপ, Wondery পডকাস্ট বিভাগ এবং আমাজন ওয়েব সার্ভিস বিভাগে অল্প পরিমাণ ছঁটাই করেছিল।
আমাজন চলতি বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড পরিকাঠামোয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করছে। সংস্থার চিফ এক্জিকিউটিভ অফিসার বা সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোম্পানির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে এআই-এর উপর। বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য বিপুল বিনিয়োগের কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে এই বহুজাতিক মার্কিন সংস্থাটি।
অ্যান্ডি জ্যাসি জানান, “যারা এই পরিবর্তনকে গ্রহণ করবে, এআই সম্পর্কে দক্ষ হবে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, তাঁরাই ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে।” তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “এআই-এর ব্যবহার বাড়লে আমরা কর্পোরেট কর্মীসংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেব।”
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আমাজন প্রায় ২৭,০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছিল। যা সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছাঁটাই। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, আমাজনে প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ কর্মী এই মুহূর্তে নিযুক্ত আছেন।
অন্যদিকে, কর্পোরেট স্তরে ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি চললেও উৎসবের মরসুমে ডেলিভারি সামলাতে আমাজন ২,৫০,০০০ কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ছাঁটাই মূলত অফিস সেক্টরে হতে চলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন