
দীর্ঘ ৯ বছর পর অবশেষে হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) দ্বিতীয় SLST পরীক্ষা। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার এবং আগামী সপ্তাহের ১৪ সেপ্টেম্বর - দুই দফায় আয়োজিত হবে পরীক্ষা। দীর্ঘদিন ধরে চলা একাধিক আইনি জটিলতা ও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ধোঁয়াশা কাটিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরীক্ষা নিতে চলেছে কমিশন।
শেষ মুহূর্তে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনের সময়সীমাও ১০ দিন বাড়িয়ে দিয়েছিল কমিশন। যাতে আরও অনেক যোগ্য প্রার্থী সুযোগ পান। এখন সেই প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। ইতিমধ্যেই কমিশন প্রকাশ করেছে প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ড। যেখানে জারি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মবিধি ও নির্দেশিকা। পরীক্ষার্থীদের কড়া ভাবে মেনে চলতে হবে এই শর্তগুলি—
কী কী নিয়ে যাওয়া যাবে না পরীক্ষাকেন্দ্রে?
পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, স্মার্ট ঘড়ি বা কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
লগ টেবিল বা ক্যালকুলেটর নিয়ে যাওয়া যাবে না পরীক্ষাকেন্দ্রে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও ধরনের ঘড়ি পড়া যাবে না।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই ধরনের জিনিস পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে সঙ্গে রাখতে দেখলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
কী কী নেওয়া যাবে?
পরীক্ষার্থীরা চাইলে তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বচ্ছ জলের বোতল, স্বচ্ছ নীল কালির বা কালো কালির কলম রাখতে পারেন।
কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা অ্যাডমিট কার্ড, আসল পরিচয়পত্র এই নথিগুলি কোনও স্বচ্ছ ফোল্ডারে নিজের সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
এছাড়া প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ডে উল্লেখ আছে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময়। নির্দেশানুসারে, দুই দিনই পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ১২টা থেকে আর শেষ হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। তবে সকলকে সকাল ১১টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। গেট বন্ধ হবে ১১টা ৪৫ মিনিটে।
এছাড়া কমিশনের আরও একটা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার দিন যে কোনও রকম হয়রানি বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল ১০টায় উপস্থিত থাকতে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই এত কড়া নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
কেন এই পরীক্ষা ?
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াতেই কারচুপি করা হয়েছে। পুরো প্যানেলই বাতিল করা হল। ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। প্রথমে বলা হয়েছিল কেবল ওই ২৫ হাজার ৭৫৩ জনই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। যদিও পরে সকলেই পরীক্ষায় বসার অনুমতি পান। আদালত আরও জানায়, যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে সেইসব পরীক্ষার্থীদের বয়সের কোনও ঊর্দ্ধসীমা এখানে দেখা হবে না। ২০১৬ সালে তাঁদের বয়সের যা হিসেব ছিল, সেই হিসেবেই তাঁরা পরীক্ষায় বসবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন