
২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ২৬ হাজার জনেরই চাকরি বাতিলের পক্ষে রায় দিল শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াতেই কারচুপি করা হয়েছে। পুরো প্যানেলই বাতিল করা হল। ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেবল ওই ২৫ হাজার ৭৫৩ জনই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। অতিরিক্ত কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষাতে বসতে পারবেন না। আদালত আরও জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের বয়সের কোনও ঊর্দ্ধসীমা এখানে দেখা হবে না। ২০১৬ সালে তাঁদের বয়সের যা হিসেব ছিল, সেই হিসেবেই তাঁরা পরীক্ষায় বসবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন।
তবে বেতন ফেরত দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের যে রায় ছিল সেই রায়ে কিছু পরিবর্তন এনেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে জানা গেছে। হাইকোর্ট সকলের বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যাঁদের অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে, অর্থাৎ এসএসসি যে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা জমা দিয়েছে, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। বাকিদের বেতন ফেরত দিতে হবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন