ফের পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরী বাতিলের শুনানি, কেবল দু'টি বিষয় বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট

People's Reporter: প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আমরা দু’টো বিষয় বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না’।
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরী বাতিল মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আমরা দু’টো বিষয় বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না’। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই ওই দু’টি বিষয় নিয়ে আদালত বিবেচনা করবে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল সিবিআই। শিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল, ওই সমস্ত ওএমআর শিটের বৈদ্যুতিন তথ্যের ৬৫বি এভিডেন্স আইন অনুযায়ী যাচাই করার কোনও শংসাপত্রও নেই। এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টে বিষয়টি আগেই আলোচনা হয়েছে। হাইকোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, ‘অহেতুক একাধিক বিষয় ঢুকিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না। অত্যন্ত লিমিটেড ইস্যু। তা নিয়েই শুনানি হবে’। এদিন বিচারপতি দু’টি বিষয় কী কী, তা-ও জানিয়েছেন। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে – এই দু’টি বিষয় বিবেচনা করবে আদালত।

এদিন মূল মামলাকারীদের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। তাঁরা আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানির তালিকায় প্রথমে রাখার আর্জি জানান। প্রধান বিচারপতি তাঁদের সেই আশ্বাস দিয়েছেন। ফিরদৌসের কথায়, ‘প্রধান বিচারপতি নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মামলার শুনানির অভিমুখ কী হতে চলেছে। বেআইনি নিয়োগ বাতিলের পক্ষে আমরা বার বার সওয়াল করেছি। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অনিয়ম হয়েছে, আবার শীর্ষ আদালতের কাছে তুলে ধরব’।

গত এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। যার ফলে চাকরিহারা হয় প্রায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশও। গত ৭ মে হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in