WB Panchayat Polls: 'প্রহসনের ভোট' - রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর ক্ষোভ উগরে মন্তব্য নওশাদের

নওশাদ বলেন, আমি তো প্রথমেই বলেছিলাম রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন চাইলেই শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক না কেন তাতে কোনো লাভ হবে না।
নওশাদ সিদ্দিকি
নওশাদ সিদ্দিকি ফাইল চিত্র
Published on

'রক্তাক্ত' পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এই নির্বাচনকে 'প্রহসনের ভোট' বলে দাবি করেছেন তিনি।

নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'আমি প্রথমেই বলেছিলাম রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন চাইলেই শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক না কেন তাতে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। ভাঙড়ে আমাদের প্রার্থীদের বাড়িতে তালা মেরে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি'।

তিনি আরও বলেন, 'ভাঙড়ে নমিনেশন জমা করার দিন থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস শুরু করে। সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারকে অবগত করেছিলাম। কিন্তু তাঁর কোনও সদর্থক ভূমিকা আমি দেখতে পাইনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত এক জায়গায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। কোথায় কীভাবে তাদের কাজে লাগানো হবে তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্যই নেই। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে'।

পাশাপাশি ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, শুধু আইএসএফ বলে নয় রাজ্যের প্রতিটা বিরোধী দলের প্রার্থী, এজেন্ট, সমর্থক সকলেই আক্রান্ত হয়েছে। তৃণমূলের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই জন্য ভয় দেখিয়ে ভোট লুঠ করতে চাইছে।

উল্লেখ্য, ভাঙড়ে শনিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ব্যাপক বোমাবাজিও হয়। আইএসএফ-র অভিযোগ বাইরে থেকে প্রচুর লোক এনে বোমাবাজি করছে তৃণমূল। পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দাবি ভাঙড়ের সবক'টি বুথে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। কোথাও কোনো অশান্তি হয়নি। অশান্তি করার চেষ্টা আইএসএফ করছে।

নওশাদ সিদ্দিকি
দীপ্সিতা ধরের ওপর হামলার অভিযোগ, পৃথক ঘটনায় আক্রান্ত তাঁর মা-ও, অভিযুক্ত তৃণমূল
নওশাদ সিদ্দিকি
WB Panchayat Polls: ৭ ঘণ্টায় ১২ বলি! পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তের বন্যায় ভাসছে বাংলা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in