

এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষের বলি হলো এক পড়ুয়া। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বোমার আঘাতে এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে ইমরান হাসান নামের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র এক তৃণমূল সমর্থকের ভাইপো। এই ঘটনায় সিপিআইএম এবং আইএসএফ-এর দিকে আঙুল তুলছে শাসকদল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম এবং আইএসএফ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ দেগঙ্গার শোয়াইসেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঙার্টি গ্রামে মিছিল করে যাচ্ছিলেন তৃণমূল সমর্থকেরা। সেই সময় নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল করে যাচ্ছিল সিপিআইএম এবং আইএসএফ। অভিযোগ, সিপিআইএম এবং আইএসএফ-এর মিছিল থেকে তৃণমূলের মিছিলের দিকে বোমা ছোড়া হয়। মিছিলে থাকা ১৭ বছরের কিশোর ইমরান হাসান গুরুতর আহত হয়। তড়িঘড়ি করে তাঁকে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের বারাসত আদালতে তোলা হবে। এই নিয়ে শেষ ২৬ দিনে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তদের বাড়িতে পাল্টা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। নামানো হয় RAF-ও।
মঙ্গলবার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও উত্তপ্ত হয়েছিল। তৃণমূল এবং আইএসএফ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন