

মুখ্যমন্ত্রীর আনা ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। রবিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে একই এপিক নম্বরের ভোটার কার্ড মানেই সেটি ভুয়ো নয়।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগেই কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ভুয়ো ভোটার নিয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্কও করেন। রবিবার সেই ভুয়ো ভোটার কার্ডের তত্ত্ব খারিজ করল নির্বাচন কমিশন।
সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এপিক নম্বর বা ভোটার কার্ড নম্বর একই থাকলেই সেটা ভুয়ো ভোটার কার্ড নয়। একাধিক কার্ডের একই নম্বর থাকতে পারে। তবে সেই ভোটার কার্ড নিয়ে কেবল একটি রাজ্যে অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির নির্বাচনী এলাকায় ভোট দেওয়া যেতে পারে।
কমিশনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকা ঠিক করার জন্য বর্তমানে ‘এরোনেট’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। অতীতে যান্ত্রিক পদ্ধতি না থাকায় বিভিন রাজ্যে কিছু সিরিজ অনুযায়ী নম্বর দেওয়া হতো। তাই একই নম্বর হয়ে গেছে। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই ধরণের ভুল থাকলে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নেতাজী ইন্ডোরে মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, রাজ্যের ভোটার তালিকায় বেড়েছে ভুতুড়ে ভোটার। বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি ভিনরাজ্য থেকে ভোটার নিয়ে আসার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই মুহুর্তে একমাত্র ‘ভূত’ তাড়ানোই কাজ। এমনকি ভোটার তালিকায় গরমিলের কথা বলতে গিয়ে বেশ কিছু নামও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। নিজের দলকে এনিয়ে সতর্ক হতে বলেন তিনি। তালিকা নজরদারির জন্য কোর কমিটিও ঘোষণা করে দেন। এই নিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই বিষয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম পিপলস রিপোর্টারের এক সাক্ষাৎকার* অনুষ্ঠানে বলেন, "মহারাষ্ট্র, দিল্লি বা হরিয়ানা নির্বাচনের পর মেইন স্ট্রিম মিডিয়া এটাকে নিয়ে হইচই করছে বা বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস এগুলো বলছে। আমরা তো বছরের পর বছর বলেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়, পুর নির্বাচনের সময়ও বলেছি। সেইসব হিসাব এখনও দেওয়া হয়নি। এই ভোট চুরি করছে কে? ভোটে কারচুপি হচ্ছে, ভোটার লিস্টে কারচুপি হচ্ছে। কে করছে? জনগণ করছে? বিরোধীরা করছে? এতে সরকারি আধিকারিকরা যুক্ত থাকেন না? একটা মৃত ভোটার যেন ভোটার লিস্টে না থাকে তার জন্য গত ১০-১২ বছর ধরে চিৎকার করে যাচ্ছি"।
*সাক্ষাৎকারটি সম্পূর্ণ দেখতে হলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন -
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন