
শঙ্কুদেব পন্ডা, জন বার্লা সহ বঙ্গ বিজেপির ৩২ জন নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ কেন এই নিরাপত্তা প্রত্যাহার তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপির প্রায় সকল প্রার্থী এবং জেলার একাধিক নেতাদের নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের অনেকেরই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন বোলপুরের বিজেপি সাংসদ পদপ্রার্থী পিয়া সাহা, তেমনই রয়েছেন শঙ্কুদেব পন্ডার মতো বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতা।
এছাড়া তালিকায় আছেন, তপশিলি জাতি-উপজাতি জাতীয় কমিশনের প্রাক্তন সহ-সভাপতি অরুণ হালদার, কোচবিহারে বিজেপির রাজ্য কোর কমিটির সদস্য অভিজিৎ বর্মন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস, বিজেপির রাজ্য নেতা অজয় রায়, নদিয়ার জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, উলুবেড়িয়ার সাংসদ পদপ্রার্থী অরুণোদয় পাল চৌধুরী, আরামবাগের সাংসদ পদপ্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর ও মাজিলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা অশোক কাণ্ডারি, জগদীশপুরের বিজেপি নেতা অশোক পুরকায়স্থ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতা মন্দির ব্রজ, উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে, বিজেপির রাজ্য যুগ্ম আহ্বায়ক দেবব্রত বিশ্বাস, ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি নেতা দেবাংশু পাণ্ডা, বিজেপির বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাশিস ধর, বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতা দীপক হালদার, বিজেপির রাজ্য নেতা জয়দীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য নেতা জীবেশচন্দ্র বিশ্বাস,
এছাড়া রয়েছেন, বিজেপি নেতা লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা নির্মল সাহা, নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির আহ্বায়ক পলাশ রানা, ঝাড়গ্রামের বিজেপি নেতা প্রণত টুডু, বিজেপি নেত্রী প্রণতি মাঝি, বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসী চরণ মণ্ডল, ঘাটালের বিজেপি জেলা সভাপতি তন্ময় দাস এবং কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস।
নিরাপত্তা তুলে নেওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাও। যাঁকে গত জানুয়ারি মাসেই মমতা ব্যানার্জির সাথে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কাজ করারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই পদক্ষেপকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ জন বার্লা। তিনি বলেন, আমার নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। আমার কোনো শত্রু নেই। মানুষের মাঝে থেকেই রাজনীতি করেছি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন