
বুধবার বেলঘরিয়ার রাজীবনগরে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে উদ্ধার হল দলেরই এক কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ। সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই খুনে নাম জড়িয়েছে দলেরই এক কর্মীর।
বুধবার সকালে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে থেকে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। ব্যস্ত রাস্তায় সকাল সকাল দেহ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের নাম রেহান খান। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত রেহান। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই বসে ছিল রেহান। তখন এই ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগ, সে সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে। একটি গুলি রেহানের ঘাড়ে এসে লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাতভর রাস্তাতেই পড়েছিলেন তিনি। সকালে উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বেলঘরিয়া থানা-সহ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকেরা। এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি চলছে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল।
অন্যদিকে, রেহানের গুলিবিদ্ধের নেপথ্যে সুশান্ত নামের এক তৃণমূল কর্মীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। অভিযোগ, বহু দিন ধরেই জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল দু'জনের মধ্যে। এমনকি ছ’মাস আগে রেহানের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল সুশান্তের বিরুদ্ধে। সে সময় সুশান্তকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার ছ’মাস পরে খুন হলেন রেহান।
এদিকে এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে যান এলাকার কাউন্সিলর দেবযানী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তদন্তের পর জানা যাবে কারা খুন করেছেন। দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন