
পুলিশের হাতে আক্রান্ত রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি! বিধায়ক নিজেই এই অভিযোগ করছেন। ডিএসপি আবু নূসর হাসানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন অখিল গিরি।
সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় কাঁথিতে। কাঁথি কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের প্রথম থেকেই অশান্তি শুরু হয়। পুলিশের সামনেই বিজেপির মণ্ডল সভপতিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরির বিরুদ্ধে। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অখিল গিরি।
অখিল গিরির অভিযোগ, ''শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। বিজেপি ইচ্ছা করে ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করি আমরা। রামনগর কলেজের সামনে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়''
ডিএসপি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ করেন অখিল গিরি। কোমরে, মাথায় ও হাতে চোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
এই সমবায়ে মোট ৭৮টি আসন। যার মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৩টি আসনে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ৬৫ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এর আগে গত বছর ১৫ ডিসেম্বরে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি কারচুপি এড়াতে ভোট কেন্দ্রে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরাও। সেই নির্বাচনে মোট ১০৮ টি আসনের মধ্যে শাসক দল সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছিলেন ১০১ টি আসন।
সেবার নির্বাচনের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। মোট পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল আধাসেনা। এছাড়া ১৪ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ৩০০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল নজরদারির জন্য। এছাড়া ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে ছিল ১৪৪ ধারা জারি। প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য ৬০ থেকে ৮০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন