TMC: খুনের চেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত ১৩ তৃণমূল নেতা, একজনের ৩ ও বাকিদের ১০ বছরের জেল! নির্দেশ আদালতের

People's Reporter: বিচারক রায়ে বলেন, এই ধরনের অপরাধ সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি - সংগৃহীত
Published on

খুনের চেষ্টা ও সংঘর্ষে মদত দেওয়ার আট বছর আগের মামলায় ১৩ জন তৃণমূল নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্তকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা করল আদালত। একই মামলায় বর্ধমান-১ ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য-সহ শাসকদলের ১২ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মারধর, সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ ছিল। বিচারক রায়ে বলেন, "এই ধরনের অপরাধ সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করে। তাই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।"

কাকলি তা গুপ্তের আইনজীবী বিশ্বজিৎ তা আদালতে দাবি করেন, "আমার মক্কেল অসুস্থ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিচার করে আদালত যেন লঘু শাস্তির কথা বিবেচনা করে।" তবে সরকারি কৌঁসুলি আদালতে যুক্তি দেন, "কেবল অসুস্থতার অজুহাতে অপরাধীদের শাস্তি লঘু করা যায় না। এই অপরাধের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি, এবং অভিযুক্তরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।"

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বর্ধমানের এক রাজনৈতিক সংঘর্ষে খুনের চেষ্টা, মারধর-সহ একাধিক ধারায় কাকলি, মানস, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক এবং রায়ান-১ অঞ্চলের সভাপতি শেখ জামাল-সহ মোট ১৩ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। গত ২৪ মার্চ আদালত অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে। তবে সেদিনই এই নির্দেশ শোনার পর কাকলি, মানস, কার্তিক ও জামাল অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে কাকলি তা গুপ্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ছিলেন, তাই তাঁকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে রাখা হয়। আদালতে উপস্থিত ১২ অভিযুক্তকে চূড়ান্ত রায় শোনানো হয়।

অন্যদিকে, কাকলির আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন, যা বিচারক মঞ্জুর করেছেন বলেই খবর। আদালত ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের ভিত্তিতে জামিন মঞ্জুর করেছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, "এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। আমাদের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করব।" অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছে, "শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়েছে। অপরাধীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেও দল ব্যর্থ হয়েছে।"

প্রতীকী ছবি
Dilip Ghosh: 'আমি সেদিন ক’টা পুতনাকে তাড়া করেছিলাম' - মহিলাদের উদ্দেশ্যে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
প্রতীকী ছবি
Arjun Singh: ফের অশান্ত ভাটপাড়া, অর্জুন সিং-কে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in