Dilip Ghosh: 'আমি সেদিন ক’টা পুতনাকে তাড়া করেছিলাম' - মহিলাদের উদ্দেশ্যে ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

People's Reporter: কয়েক দিন আগে খড়্গপুরে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। কয়েক জন মহিলা তাঁর রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। সেখানেই তাঁদের অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

আগামী বছরই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের সংবাদ শিরোনামে প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীদের আক্রমণ করলেন তিনি। এমনকি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ফুরুফুরা শরিফ যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনেও নাম করে আক্রমণ করেন দিলীপ। যদিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

বেশ কয়েক দিন আগে খড়্গপুরে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। কয়েক জন মহিলা তাঁর রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। সেখানেই তাঁদের অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি। বুধবার গাংনাপুরে গিয়ে ফের এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সে দিন ক’টা পুতনাকে তাড়া করেছিলাম! বলেছিলাম, গাড়ি চালিয়ে দেব বুকের উপর দিয়ে!"

এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরা শরিফ যাওয়া নিয়ে নাম উল্লেখ না করে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “উনি ফুরফুরা শরিফে ধর্না দিচ্ছেন, আবার দেখাচ্ছেন এখানে (দিঘা) জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছেন। ..গরু মেরে জুতো দান হচ্ছে?” এর পরেই তিনি বলেন, “এই যারা ভেকধারী— কেউ হিড়িম্বা, কেউ পুতনা— ভাববেন না মা হয়ে দুধ খাওয়াতে এসেছে। ...এত দরদ ভাল নয়। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি!”

মহিলাদের নিয়ে দিলীপের এহেন মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে। যদিও দিলীপের বক্তব্য, “আমরা মা সীতা, মা দ্রৌপদী, এদের মায়ের আসনে বসিয়েছি। শূর্পণখা আর পুতনাকে কখনও বসাব না। তাদের বুকের উপর দিয়ে গাড়িই চালাব!” পুতনা-প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “যে এই মহিলাকে বধ করেছে, আমরা তাকে মালা দিই, তার ছবি রাখি— আর এটা ভারতবর্ষের সংস্কৃতি"।

তবে দিলীপের এই মন্তব্যে পাল্টা আক্রমণ করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, "দিলীপ ঘোষ ভুলে গিয়েছেন, তিনি ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে থেকে রাজনীতি করছেন। সংবিধান নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান ও স্বীকৃতির কথা বলছে। দিলীপবাবু প্রমাণ করেছেন, বিজেপি তা মানে না"।

তবে এদিন দিলীপ ঘোষ এখানেই থামেননি। হিন্দুদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, “যাঁরা ইদ-ইফতার করছেন, নিজেদের ধর্ম পালন করুন। কিন্তু আমাদের ধর্মকর্ম, মেলা-অনুষ্ঠানে কোনও বাধা যেন না আসে। তা হলে সুদর্শন চক্রও বেরোবে, তির-ধনুকও বেরোবে"। তিনি আরও বলেন, “আমাদের ধর্ম শিখিয়েছে - শাস্ত্রও চাই, শস্ত্রও চাই। রামনবমী আসছে। খোল করতাল নিয়ে, ত্রিশূল নিয়ে বেরোন। বুঝিয়ে দিন, হিন্দু জেগেছে"।

এই বিষয়ে তৃণমূলের জয়প্রকাশের মন্তব্য, "ইচ্ছা করে অশান্তি তৈরি চেষ্টা করা হচ্ছে"।

দিলীপ ঘোষ
BHU: প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় হওয়া সত্ত্বেও ভর্তি নিল না বিএইচইউ, প্রতিবাদে ধর্নায় দলিত ছাত্র

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in