

বাংলায় এসআইআর-র খসড়া তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর দেখা গেছে প্রায় ৬০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেছে। সবথেকে বেশি ভোটারদের নাম বাদ যাওয়া প্রথম ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৯টিই রয়েছে কলকাতাতে।
রাজ্যের কোন বিধানসভায় কত ভোটার বাদ গেছে তার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। যার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে ৭২,৮৯৯ জন ভোটারের নাম বাদ গেছে। শতাংশের হিসেবে যা ৩৬.৮৫। এরপর আছে চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্র। যেখানে বাদ গেছে ৭৪,৫১০ জন ভোটারের নাম অর্থাৎ ৩৫.৪৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে বাদ গেছে ৬০,৪৩৬ ভোটারের নাম (২৬.৯৬%)।
কলকাতা পোর্ট কেন্দ্রে বাদ পড়েছে ৬৩,৭১৭ ভোটার (২৬.১৭%)। বালিগঞ্জে বাদ পড়েছে ৬৫,১৫৬ ভোটার (২৫.৫৪%), শ্যামপুকুরে বাদ গেছে ৪২,৩০৪ ভোটার (২৪.০৬%), কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় বাদ গেছে ৫৩,৩৬৫ ভোটার (২৩.৯৬%) এবং বেলেঘাটায় ৫৬,৮৯৩ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে (২২.৪২%)।
সবথেকে কম ভোটার বাদ পড়েছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে বাদ পড়েছে ৫,৬৮৭ ভোটার (২.২১%)। এরপর আছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে বাদ গেছে ৬,৬৫১ (২.৪৬%) ভোটার। সবং-এ বাদ গেছে ৬,৯৭৬ ভোটার (২.৫%)। করিমপুরে ৬,৫৫৯, পটাশপুরে ৬,৪১৮, ভগবানপুরে ৬,৮৫৩, মহিষাদলে ৬,৬৮০, ময়নায় ৭,১০১ ভোটার, কাঁথি উত্তরে ৭,২৬৪ এবং চণ্ডীপুরে ৭,১২০ জন ভোটারের নাম বাদ পড়েছে।
অন্যদিকে কমিশনের নজরে রয়েছে ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৮ হাজার ৩৪০ 'অসঙ্গতিপূর্ণ' ভোটার। যেমন, কোনও ক্ষেত্রে ভোটারের চেয়ে তাঁর বাবা বা মা মাত্র ১৫ বছরের বড়। কোথাও আবার ঠাকুরদা বা ঠাকুরমার চেয়ে ভোটার ৪০ বছরেরও ছোট নয়। দঃ ২৪ পরগনাতেই ১৬ লক্ষ ৩ হাজার ১৬জন এমন 'অসঙ্গতিপূর্ণ' ভোটার রয়েছে। উঃ ২৪ পরগনায় ১১ লক্ষ ২ হাজার ৫২১ জন 'অসঙ্গতিপূর্ণ' ভোটার। দুই ২৪ পরগনার পরেই 'অসঙ্গতিপূর্ণ' ভোটারের সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদে 'অসঙ্গতিপূর্ণ' ভোটারের সংখ্যা ১০ লক্ষ ২ হাজার ৭৬২জন।
উল্লেখ্য, সদ্য প্রকাশিত খসড়া তালিকায় রয়েছে ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯ জনের নাম। বুধবার থেকেই শুনানির নোটিস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও মনোজ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন