

তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরই নয়া দল গঠনের কথা জানিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। সেই দলের আবার ৭৫ জনকে রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হবে বলেও জানান। আগামী ২২ ডিসেম্বর অনেক চমক অপেক্ষা করছে বলেই দাবি করেছেন হুমায়ুন।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুমায়ুন জানান, আমরা ইতিমধ্যেই নতুন দলের গঠন এবং নাম ঠিক করেছি। আমি ২২ ডিসেম্বর নতুন দল গঠন করব এবং তারপর বিস্তারিত ঘোষণা করব। আমি কেবল এটুকু বলতে পারি যে আমাদের নতুন দলের ৭৫ সদস্যের রাজ্য কমিটি থাকবে। আমি সকলের জন্য আমাদের দলের দরজা খুলে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয়ই আমার শত্রু। আমি তাদের ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য লড়াই করছি। আমি ১৩৫টি আসনের জন্য টিকিট দেব, যার মধ্যে ৮০-৯০টি আসন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এবং বাকিগুলি হিন্দু অধ্যুষিত। আমার দল হবে ধর্মনিরপেক্ষ। এই দলটি বাংলার ১১.৫ কোটি মানুষের কথা বলবে।
মুর্শিদাবাদের মাটিতে শিলান্যাস করা বাবরি মসজিদ সম্পর্কে তিনি বলেন, মসজিদটি উত্তর প্রদেশের বাবরি মসজিদের কাঠামোর মতো হবে। আমরা ২৫ বিঘা জমির মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পার্ক, হেলিপ্যাড এবং আরও অনেক কিছু তৈরি করব।
হুমায়ুন কবীর জানান, তাঁর দল ধর্মনিরপেক্ষ হবে। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করেই ২০২৬ নির্বাচনে ভোট কাটাকুটির খেলায় নেমেছেন হুমায়ুন। তিনি জানান, কিছু দল মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে এবং কিছু দল হিন্দুদের বিভ্রান্ত করছে, কিন্তু আমি তা করছি না। আমরা এমন একটি দল তৈরি করব যা বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয়ের বিরুদ্ধেই লড়াই করবে। আমাদের দলে এবং আমাদের জোটেও সকলকে স্বাগত। তৃণমূল কংগ্রেস মুসলিমদের জন্য আর কী করেছে, আমাদের ভোট ব্যবহার করা, আমাদের ছেলেদের অপরাধে ঠেলে দেওয়া এবং মামলায় অভিযুক্ত করা ছাড়া? এই যুগে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না। এটাই কি ন্যায়বিচার?
এর আগে দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন, "আগামী ১৭ ডিসেম্বর কলকাতা যাব। বিধানসভায় একটি বৈঠক রয়েছে। সে দিনই ইস্তফা দিয়ে আসব"। কিন্তু রবিবার তিনি জানান, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। হুমায়ুন কবীর কংগ্রেস থেকে ২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিজেপিতে ছিলেন। পরে ২০২১ সালে ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। আগামী নির্বাচনে তিনি কোনও বড় প্রভাব ফেলতে পারেন কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন