

উত্তর থেকে শুরু হয়ে ক্রমশ দক্ষিণের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। চতুর্দশ দিনে সিপিআইএম-এর বাংলা বাঁচাও যাত্রা নদীয়া পেরিয়ে প্রবেশ করলো পূর্ব বর্ধমানে। এদিনই দুপুরের পর পূর্ব বর্ধমান থেকে যাত্রা প্রবেশ করবে হুগলী জেলায়। গত ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে এদিন সকালেই যাত্রা পৌঁছেছে হুগলীতে। গতকাল রাতে নবদ্বীপের রাধাবাজারে দিনের সমাপ্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সকালে নদীয়া জেলা থেকে বাংলা বাঁচাও যাত্রা পূর্ব বর্ধমান জেলার হেমায়েতপুর মোড়ে প্রবেশ করে। সিপিআইএম নদীয়া জেলার নেতৃত্ব বাংলা বাঁচাও যাত্রার পতাকা তুলে দেন পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্বর হাতে।
শুক্রবার সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রবেশের পর নিমতলা বাজারের সমাবেশে সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, মন্দির মসজিদের রাজনীতিতে চাঁপা পড়ে যাচ্ছে আমাদের কাজের কথা, আমাদের পেটের ভাতের কথা। আমরা বাংলা বাঁচাও যাত্রা করছি পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির বদল ঘটাতে। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বাঁচাতে, কৃষকদের, শ্রমিকদের বাঁচাতে এই বাংলা বাঁচাও যাত্রাকে আরও সংগঠিত করতে হবে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এই যে বাংলা বাঁচাও যাত্রা শুরু হয়েছে তা সফল হবেনা। এই লড়াই গোটা পশ্চিমবঙ্গের লড়াই। পশ্চিম্বঙ্গের মানুষের লড়াই।
বৃহস্পতিবার নদীয়ার তেহট্টের নাটনা মোড়, পলাশীপাড়া বাসস্ট্যান্ডের জনসমাবেশে মানুষের ঢল নামে। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, তৃণমূলে থাকা চোরদের রাজ্যের পুলিশ পাহারা দিচ্ছে আর বিজেপিতে থাকা চোরদের কেন্দ্রের পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির নামে খেলা হবে বলছেন আর বাস্তবে চোর পুলিশ খেলা হচ্ছে।
সেলিম আরও বলেন, নবান্নকে শায়েস্তা করতে ছাপ্পান্ন ইঞ্চি কিছু করবে না। আর বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলও কিছু করবে না। বাঁচতে হলে জাতি ধর্ম ভাষা বর্ণ নির্বিশেষে সব খেটে খাওয়া মানুষকে একজোট করে লড়াই করতে হবে অধিকার রক্ষার জন্য। দেশ বাঁচানোর জন্য বাংলা বাঁচাতে হবে। বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাই এই বাংলা বাঁচাও যাত্রা।
তেহট্টের সভায় তিনি বলেন, বামপন্থা মানে খাদ্যের অধিকার। আর দক্ষিণপন্থা মানে রেশন তুলে দেওয়া। তা থেকে নজর ঘোরাতে এসব আমিশ-নিরামিশ বিবাদ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা বলছি আমিষ নিরামিষ এসব আসল বিষয় নয়। এদের মূল উদ্দেশ্য এসব করে মানুষের মধ্যে বিভেদ ছড়ানো।
পলাশীপাড়া বাসস্ট্যান্ডের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে শুরু হয়েছে লুটের রাজত্ব। নিয়ে আসা হয়েছে বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেও। তৃণমূল আসলে রাজ্যের মানুষকে বিজেপির দিকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার একটা সিঁড়ি মাত্র।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন