

● সিপিআইএম-এর বাংলা বাঁচাও যাত্রা দ্বাদশ দিনে।
● ৮ জেলা ঘুরে আজ রাতেই মুর্শিদাবাদ থেকে নদীয়ায় ঢুকবে বাংলা বাঁচাও যাত্রা।
● মুর্শিদাবাদের ডোমকলে রাজ্যে এই প্রথম ‘পরিযায়ী শ্রমিক সহায়তা কেন্দ্র’ চালু করে সিপিআইএম।
সিপিআইএম-এর বাংলা বাঁচাও যাত্রা আজ দ্বাদশ দিনে। আজই মুর্শিদাবাদ থেকে যাত্রা করিমপুর দিয়ে ঢুকবে নদীয়ায়। করিমপুর, তেহট্ট, পলাশীপাড়া, পলাশী, বেথুয়াডহরী, ধুবুলিয়া, নবদ্বীপ হয়ে আগামীকাল ত্রয়োদশ দিনে যাত্রা এগিয়ে যাবে পরবর্তী গন্তব্যে। গত ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। সমাপ্তি সমাবেশ ১৭ ডিসেম্বর কামারহাটিতে।
গতকাল মঙ্গলবার যাত্রাপথে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে রাজ্যে এই প্রথম ‘পরিযায়ী শ্রমিক সহায়তা কেন্দ্র’ চালু করে সিপিআইএম। পরিযায়ী শ্রমিক সহায়তা কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন পরিযায়ী শ্রমিকের মা হাসিনা বেগম। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখার্জি সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব।
ডোমকল বাসস্ট্যান্ডের সামনে এক ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, আমরা বামপন্থীরা মনে করি ধর্ম নিজের নিজের, উপাসনাস্থলে হবে। কিন্তু ধর্মকে ভোটের মধ্যে টেনে এনে ক্ষমতার সিঁড়ি করা ধর্মের অপমান। আরএসএস-কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল সেটাই করছে।
গতকাল ডোমকলে মহম্মদ সেলিমের বক্তব্যে উঠে আসে খাস কলকাতায় রবিবার ‘চিকেন প্যাটিস বিক্রির অপরাধে’ এক হকারকে মারধোরের ঘটনা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কায়দায় উত্তরপ্রদেশের মহম্মদ আকলাখকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল সেই কায়দাতেই কলকাতায় আরএসএস বাহিনী দলবদ্ধভাবে প্রহার করেছে এক আমিষ বিক্রেতা হকারকে।
মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। কলকাতার বুকে এই ঘটনার পরেও পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করেনি কেন? আরএসএসকে খুশি রাখতে? যারা মনে করেন তৃণমূলকে দিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে তাঁরা দেখুন কীভাবে উত্তর ভারতের সাম্প্রদায়িক ঘৃণা বিদ্বেষের রাজনীতি বাংলার বুকে আমদানি করেছে তৃণমূল।
ভাদুড়িয়াপাড়ার সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকের পয়সার সরকারের দিন চলছে অথচ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোনও খেয়াল নেই রাজ্য সরকারের। সরকার বলেছে ৩১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে। কেউ সেই টাকা পেয়েছে? তাহলে সেই টাকা কোথায় গেল? কাদের পকেটে গেল? তাহলে যারা সন্ত্রাস করছে, যারা গুন্ডারাজ কায়েম করছে, যারা লুটে খাচ্ছে, যারা টাকা মেরে দেবার তাল করছে তাদেরকে অঞ্চল থেকে খেদাতে হবে। আর যদি তাদেরকে খেদাতে পারি তাহলেই আমরা বাংলাকে বাঁচিয়ে দিতে পারবো।
মঙ্গলবার সকালে জলঙ্গীর নরসিংহপুরের ফরাজিপাড়া থেকে যাত্রা শুরু হয়। পদ্মা নদীর ধার দিয়ে মিছিল এগিয়ে যায়। সাদিখাদিয়াড় স্কুল মোড়, বিলাসপুর মোড়, নাসেরের পাড়া হয়ে বাংলা বাঁচাও যাত্রা পৌঁছায় ভাদুড়িয়াপাড়া বাজারে। সন্ধ্যায় রাণীনগর বিধানসভার ইসলামপুর হয়ে রাতে পৌঁছে যায় বহরমপুর ব্লকের ঘোষপাড়ায়। বুধবার এই লেখার সময় বাংলা বাঁচাও যাত্রার বাইক র্যালি চলছে হরিহরপাড়ায়।
গতকালের বাংলা বাঁচাও যাত্রায় সিপিআইএম-এর পক্ষে মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আভাষ রায়চৌধুরী, জামির মোল্লা, প্রতীক উর রহমান, শতরূপ ঘোষ প্রমুখ।
Keywords: CPIM, Bangla Bachao Yatra, Left Front, West Bengal, West Bengal Politics, Md Salim, Minakshi Mukherjee
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন