দেখতে দেখতে অষ্টম দিনে পা দিল সিপিআইএম-এর বাংলা বাঁচাও যাত্রা। উত্তরের সীমানা থেকে শুরু করে যাত্রা এখন দক্ষিণের দিকে। গত ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ হয়ে শুক্রবার রাতে প্রবেশ করেছে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়। শনিবার সকালে সেখান থেকেই শুরু হয়েছে বাংলা বাঁচাও যাত্রার পরবর্তী পর্যায়।
শুক্রবার সকালে মালদহ শহর থেকে যাত্রা শুরু হয়। এরপর ইংরেজবাজার হয়ে মাণিকচকের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অমৃতি থেকে মিল্কি হয়ে পদযাত্রা এসে পৌঁছায় ধরমপুর চৌকিতে। সেখানে সভার পর বাইক মিছিলে মথুরাপুর হয়ে পদযাত্রা যায় ভূতনি ব্রিজ পর্যন্ত। এই পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এরপর চন্ডীপুরে হয় সমাবেশ। সমাবেশে মহম্মদ সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি, দেবজ্যোতি সিনহা, কৌশিক মিশ্র প্রমুখ সিপিআইএম নেতৃত্ব।
ভূতনীর ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে মহম্মদ সেলিম বলেন, নদী ভাঙনে যখন মানুষের ঘর ভেসে গেছে তখন সরকারের ভ্রূক্ষেপ দেখা যায়নি, এখন নিজের দলের ভাঙন ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মালদহ, মুর্শিদাবাদে ছুটে ছুটে আসছেন। তিনি আরও বলেন, লুটের জন্য দল বাঁচানোই ওদের উদ্দেশ্য, মানুষকে বাঁচাতে ওদের কোনও নজর নেই। তাই বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে, বাংলার মানুষকে বাঁচাতে লাল ঝান্ডা নিয়ে আমাদের বাংলা বাঁচাও যাত্রা।
তিনি আরও বলেন, লুটের রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে বিজেপি তৃণমূল রাজনীতির মধ্যে মন্দির মসজিদ টেনে এনে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করছে। অথচ নদী ভাঙন, বেকারি, স্বাস্থ্য, শিক্ষার সমস্যা শুধুমাত্র হিন্দু অথবা মুসলিম কোনও এক সম্প্রদায়ের নয়। সকলের সমস্যা। সেদিকে এদের নজর নেই।
সমাবেশে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ভাঙনে মানুষের ঘর থাকবে কিনা ঠিক নেই আর তৃণমূল বিজেপি নেতারা রামমন্দির বাবরি মসজিদ নিয়ে চেঁচাচ্ছে। এসআইআর নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে।
তিনি আরও বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা তৃণমূল চুরি করেছে। মাষ্টাররোলে ভুয়ো নাম লিখে টাকা তুলেছে। সিপিআইএম অভিযোগ করল। বিজেপি টাকা বন্ধ করে দিল। তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়ালো? চুরি করলো তৃণমূল। আর শাস্তি দেওয়া হল মানুষকে। গ্রামবাসীদের এমন অবস্থা যে মাইক্রোফিনান্স থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। চড়া সুদে। কিস্তির টাকা মেটাতে না পারলে বাড়িতে বাউন্সার আসছে। এসব আমরা চলতে দিতে পারি না।
শুক্রবার মালদহ জুড়ে বিভিন্ন সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র, শতরূপ ঘোষ, প্রতীক উর রহমান, জামিল ফিরদৌস, প্রণয় কারজি, দিধীতি রায় প্রমুখ সিপিআইএম নেতৃত্ব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন