

● আজ বাংলা বাঁচাও যাত্রার ত্রয়োদশ দিন।
● সারাদিন নদীয়া ঘুরে আগামীকাল চতুর্দশ দিনে যাত্রা প্রবেশ করবে পূর্ব বর্ধমানে।
● বাংলা বাঁচাও যাত্রার সমাপ্তি সমাবেশ ১৭ ডিসেম্বর, বেলঘড়িয়ার দেওয়ানপাড়া মাঠে।
জল, জমি, জঙ্গল, সবুজ, মানুষের রুটি, রুজি, বাসস্থান বাঁচানোর দাবি নিয়ে আজ ত্রয়োদশ দিনে পা দিল বাংলা বাঁচাও যাত্রা। সিপিআইএম (CPIM) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে গত ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হওয়া বাংলা বাঁচাও যাত্রা বুধবার রাতেই মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রবেশ করেছে নদীয়া জেলায়। আজ দিনভর নদীয়া জেলা ঘুরে আগামীকাল যাত্রা প্রবেশ করবে পূর্ব বর্ধমানে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া দেওয়ানপাড়া মাঠে বাংলা বাঁচাও যাত্রার (Bangla Bachao Yatra) সমাপ্তি সমাবেশ।
মঙ্গলবার রাতে নওদাপাড়ায় থাকার পর বুধবার সকালে বহরমপুর কলাডাঙা ঘোষপাড়া থেকে যাত্রা শুরু করে রামকৃষ্ণপুর, বারুইপাড়া, হরিহরপাড়া পেরিয়ে বুধবার গজনীপুর মোড় দিয়ে নদীয়াতে প্রবেশ করে যাত্রা। নদীয়ার করিমপুর থেকে ঘোড়াদহ, সেনপাড়া, নতিডাঙা মোড় পেরিয়ে দোগাছি সবজি হাটে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা বাঁচাও যাত্রার ত্রয়োদশ দিনে সকালে বাইক মিছিলের মধ্যে দিয়ে যাত্রা ফের শুরু হয়েছে। করিমপুর থেকে তেহট্ট, পলাশীপাড়া পেরিয়ে যাত্রা যাবে কালিগঞ্জের পলাশীতে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর শান্তিপুরে বাংলা বাঁচাও যাত্রার প্রচার চলাকালীন প্রচারগাড়ির ওপর হামলা হয়। সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের মারধোর করা হয়, গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। সিপিআইএম নদীয়া জেলা সম্পাদক মেঘলাল শেখ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বাংলা বাঁচাও যাত্রার সাফল্যে ভয় পেয়েছে তৃণমূল বিজেপি। তাই এই আক্রমণ। আক্রান্তরা সকলে পলাশীর সমাবেশে যোগ দেবে।
করিমপুরের সমাবেশে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, দেশ আমাদের, রাজ্য আমাদের। যারা দেশ ও রাজ্যকে ধ্বংস করতে চাইছে তাদের হাত থেকে আমাদের আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। এই দুই অপশক্তিকে উৎখাত করতে হবে। তার জন্যই জোট বাঁধার শপথ। তার জন্যই বাংলা বাঁচাও যাত্রা।
সমাবেশ থেকে স্থানীয় জনতার উদ্দেশ্যে মীনাক্ষী মুখার্জি (Minakshi Mukherjee) বলেন, রাজ্যের গুন্ডা, বদমাশ, দুষ্কৃতীরা বিশ্বাস করে নিয়েছে যে তারা অন্যায় করলেও কিছু হবেনা। কারণ পুলিশ ওদের সঙ্গে আছে। কিন্তু এই অবস্থা চলতে পারেনা। পুলিশ খুনি ধর্ষকদের সাহস যোগাবে, আর বামপন্থীরা চুপ করে থাকবে তা হবেনা। আক্রান্ত বাংলাকে পুনরুদ্ধারের জন্যই এই বাংলা বাঁচাও যাত্রা।
গতকাল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ফুটবল গ্রাউন্ডের এক জনসভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, যে রাজনীতি প্রতিদিন মুর্শিদাবাদকে গরিব করছে, জেলার মায়েদের দুর্বল করছে, আমরা সেই রাজনীতি বদলাতে চাই। মানুষের রুটি রুজির ইস্যুকে পেছনে ফেলে মন্দির মসজিদ নিয়ে উন্মত্ততার রাজনীতি করছে শাসকশ্রেণি। আমরা লাল ঝান্ডা সাথে নিয়ে ওই রাজনীতি বদলাবো।
শুক্রবার চতুর্দশ দিনে নবদ্বীপ থেকে সমুদ্রগড় নিমতলা বাজার দিয়ে যাত্রা প্রবেশ করবে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এরপর রায়গ্রাম, কুসুমগ্রাম, সাতগাছিয়া হয়ে মেমারী। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ। যে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন মহম্মদ সেলিম ও ঐশী ঘোষ। এরপর হুগলীতে প্রবেশ করবে বাংলা বাঁচাও যাত্রা।
গত ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। সমাপ্তি সমাবেশ ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়াতে।
Keywords: Bangla Bachao Yatra, CPIM, West Bengal, Left Front, Md Salim, Minakshi Mukherjee, Sujan Chakraborty
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন