● চার শ্রমকোড বাতিলের দাবিতে ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ দেশজুড়ে ধর্মঘট।
● আগামী ২২ ডিসেম্বর চূড়ান্ত হবে ধর্মঘটের তারিখ।
● শ্রমকোড প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে দেশের প্রধান দশ ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ।
দেশের দশটি প্রধান ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ চার শ্রমকোডের (Labour Codes) বিরুদ্ধে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ধর্মঘটে নামতে চলেছে। শ্রমকোড প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে এই ধর্মঘট হবে বলে মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আগামী ২২ ডিসেম্বর যৌথ মঞ্চের বৈঠক থেকে ধর্মঘটের দিন চূড়ান্ত করা হবে। ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চের ডাকে এই ধর্মঘটে শামিল হবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাও।
৯ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে সিআইটিইউ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটসহ প্রত্যক্ষ কর্মসূচির ডাক দেবে। ২২শে ডিসেম্বর ২০২৫-এর বৈঠকে ধর্মঘটের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শ্রমিকদের জন্য শ্রম বিধিগুলোর তথাকথিত ‘সুবিধা’ সম্পর্কে নজিরবিহীন মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আকারে বিজ্ঞাপন এবং সেগুলোকে সমর্থন করে পেইড নিউজ ও প্রবন্ধ প্রকাশ। এটি সরকারি প্রশাসন ও শাসক শ্রেণির মধ্যে বেড়ে চলা আতঙ্ককেই তুলে ধরে।
গত ২১ নভেম্বর কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে চার শ্রমকোড চালু করা হয়। এই চার শ্রম কোড হল - কোড অন ওয়েজেস ২০১৯ (Code on Wages 2019), ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড ২০২০ (Industrial Relations Code 2020), কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি ২০২০ (Code on Social Security 2020) এবং অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড ২০২০ (Occupational Safety, Health and Working Conditions Code 2020)। দেশে চালু থাকা ২৯টি শ্রম আইনকে এই চার কোডের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।
২১ নভেম্বর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শ্রম কোড জারি করার পরেই দেশের প্রধান দশটি ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নস (Joint Platform of Central Trade Unions) এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে চার শ্রমকোডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই শ্রমকোডকে ‘প্রতারণামূলক’ আখ্যা দিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব বলেন, এই শ্রমকোড বিগত কয়েক দশকের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে সবথেকে বড়ো ‘প্রতারণা’ বলে জানিয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর পিপলস রিপোর্টারকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক জিয়াউল আলম জানিয়েছিলেন, চলতি মাসের ২২ তারিখ রাজ্য জুড়ে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে, জনবহুল অঞ্চলে শ্রমকোড বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাবে সংগঠন। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমকোডের ফলে খর্ব হচ্ছে শ্রমিকদের স্বাধীনতা। দেশ জুড়ে শ্রমক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে এক অস্থির পরিস্থিতি। শ্রমিকদের কাজের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে শ্রমকোড বাতিল করতে হবে।
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নস বা যৌথ মঞ্চে আছে সিআইটিইউ (CITU), এআইটিইউসি (AITUC), আইএনটিইউসি (INTUC), এইচএমএস (HMS), এআইইউটিইউসি (AIUTUC), টিইউসিসি (TUCC), এআইসিসিটিইউ (AICCTU), এলপিএফ (LFP), ইউটিইউসি (UTUC), এসইডব্লুএ (SEWA)।
Keywords: Labour Codes, Four Labour Codes, Trade Unions, Joint Trade Union Platform, February Strike, Nationwide Strike, Workers’ Rights, Labour Law Reform, Strike Against Labour Codes, Withdrawal of Labour Codes, India Labour Protest, Trade Union Protest
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন