Rajasthan: বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচের বিনিময়ে দিতে হবে কমিশন! ৩ বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
এমএলএ লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট (ল্যাড) ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্দের জন্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের ৩ বিধায়কদের বিরুদ্ধে। যার জেরে ৩ বিধায়কের বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা।
দৈনিক ভাস্কর-এর একটি স্টিং অপারেশনে অভিযোগ করা হয় যে নাগৌরের খিনভসর থেকে বিজেপি বিধায়ক রেবন্ত রাম ডাঙ্গা, কারৌলির হিন্দাউনের কংগ্রেস বিধায়ক অনিতা জাতব এবং ভরতপুরের বায়ানার নির্দল বিধায়ক রিতু বানাওয়াত বিধায়ক তহবিলের টাকা কমিশনের বিনিময়ে উন্নয়নের জন্য খরচ করতে রাজি হন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৩ বিধায়ক। রাজস্থানে বিধায়করা প্রতি বছর ল্যাড ফান্ডের আওতায় ৫ কোটি টাকা করে পান
এরপরই সক্রিয় হয় রাজস্থান সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এমএলএ লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর ও উদ্বেগজনক। দুর্নীতির প্রশ্নে আমাদের সরকার কোনভাবেই নমনীয় নয়। ওই ব্যক্তি যতই প্রভাবশালী হন না কেন, দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড়া হবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজ্যের প্রধান ভিজিল্যান্স কমিশনারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ভাস্কর এ সাওয়ান্তের নেতৃত্বে চার সদস্যের এই কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন বিধায়কের বিধানসভা কেন্দ্রের ল্যাড ফান্ডের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে এবং তাঁদের সুপারিশে অনুমোদিত সমস্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অর্থপ্রদান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক রেওয়ন্ত রাম ডাঙ্গা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, এক ব্যক্তি বারবার তাঁর কাছে এসে অনুমোদনের অনুরোধ করেন এবং জোর করে ‘উপহার’ হিসেবে টাকা দিতে চান, যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
কংগ্রেস বিধায়ক অনিতা জাতবও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে সেগুলিকে মিথ্যা ও মানহানিকর বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, তিনি কোনও টাকা নেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

