

আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের চিন্তা বাড়ালেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাগুলির একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন তিনি। যা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিধায়কের এহেন মন্তব্যে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। যদিও এবিষয়টি নিয়ে আপাতত নীরব জেলা নেতৃত্ব।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের রঘুনাথগঞ্জে তৃণমূল পরিচালিত বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন বিধায়ক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ১০০ টাকা আসে! কিন্তু কাজ হয় ২৫ টাকার। আমি পুরসভার ভাল করতে গিয়েছিলাম, তবে আমাকে কিছু নেতা বাধা দিয়েছে। তাই আজ পুরসভার অবস্থা দেখুন। জেলাশাসকের কাছে গিয়েও আমি ন্যায্য বিচার পাইনি। এসডিও-কে একাধিক বার বলা সত্ত্বেও তদন্ত করেনি। কেন জলের কাজ করা হয়নি?"
এই নিয়ে কংগ্রেস জেলা মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেছেন, "মনে হচ্ছে, জাকির হোসেন নিজেই এখন দলের কাছে অনেকটা ব্রাত্য। ভাঙনের প্রশ্ন যেটা জাকির হোসেন বলেছেন, সেটা ১০০ শতাংশ সত্যি। ১০০ টাকা এলে মাত্র ২৫ টাকার কাজ হয়, বাকি ৭৫ টাকা নেতাদের পকেটে চলে যাচ্ছে।"
তবে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম। এনিয়ে মুখ খোলেননি তৃণমূল নেতৃত্বও।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রপাত কয়েকমাস আগে। জঙ্গিপুর পুরসভার ২১ টি আসনের মধ্যে ১৬ টি রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের দখলে। জানা গেছে, পুরসভার চেয়ারম্যান মজিফুল ইসলামের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক রয়েছে বিধায়ক জাকির হোসেনের। চলতি বছর ২৬ জুন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মফিজুলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূলেরই ৯ জন কাউন্সিলর। সেই সময় এতে সমর্থন জানিয়েছিলেন ১ জন কংগ্রেস এবং ১ জন বিজেপি কাউন্সিলরও।
যদিও সেই সময় এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে ৮ জুলাই কলকাতায় বৈঠক ডাকা হয়। সেই সময় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও সাংগঠনিক পদাধিকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে রাজ্য নেতৃত্ব। তবে উপস্থিত ছিলেন না বিধায়ক অনুগামীরা। সাময়িক ভাবে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটলেও তিন মাস পর ফের মাথা চাড়া দিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই বিধায়কের এহেন মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন