

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। সদ্য বিহারে সম্পন্ন হয়েছে এসআইআর পর্ব। এবার পালা পশ্চিমবঙ্গের। ছাব্বিশে ভোটের আগে এসআইআর সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে আপাতত উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এই আবহে এবার রাজ্যের প্রায় ৬০০ জন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) -কে শোকজ করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। জানা গেছে, বিএলও কাজ থেকে কেন তাঁরা অব্যাহতি চেয়েছেন, তা নিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই বিএলও নিয়োগের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি দফতরের সচিব বিনোদ কুমারকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর জানিয়েছিল, একাধিক জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএলও-এর নিয়োগপত্র গ্রহণ করছেন না। কমিশন এর কারণ জানতে চেয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকজন বিএলও-কে একই কারণে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিহারে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এসআইআর। আগামী নভেম্বরে সেরাজ্যে দু'দফায় বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছরের নির্বাচন। তার আগে দ্রুততার সঙ্গে এসআইআর শুরু করতে চাইছে কমিশন। সব জেলাতেই ম্যাপিং এবং আপলোডিংয়ের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে ২০০২ সালের প্রকাশিত ভোটের তালিকার সঙ্গে সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার দেশের সব মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, এসআইআরকে কেন্দ্র করেই একটি বৈঠক হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন