
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে সরকারি চাকরির অবস্থা নিয়ে চিন্তিত উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ তথা মেয়েদের মধ্যে প্রথম হওয়া বাঁকুড়ার সৃজিতা ঘোষাল। বললেন, “রাজ্যে সরকারি চাকরির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে”।
বুধবার প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবার মেধাতালিকার প্রথম দশে রয়েছে মোট ৭২ জন পড়ুয়া। ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ। এবার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯০.৭৯ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের রূপায়ণ পাল, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। ৪৯৪ পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন বাঁকুড়ার সৃজিতা ঘোষাল। তিনি সোনামুখী গার্লস হাই স্কুলের পড়ুয়া। মেয়েদের মধ্যে সৃজিতাই প্রথম।
নিজের ফলে খুশি সৃজিতা। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “প্রথমে একদম বিশ্বাস হচ্ছিল না। এরপর সবাই বলায় আমি বিশ্বাস করি। খুব ভাল লাগছে। আমার এক বান্ধবী ফোন করে জানায় যে আমি চতুর্থ হয়েছি। তারপর সবাই ফোন করছে, মেসেজ করছে”।
রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত সৃজিতা। জানান, “পশ্চিমবঙ্গে অবস্থা আপাতত খুবই খারাপ। মূলত সরকারি চাকরির ভবিষ্যত নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা গড়ে উঠেছে। চাইব আমার রাজ্য এই সমস্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুক। পরিস্থিতি ঠিক হোক। এসএসসির সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটে যাক। যাতে আমাদের জেনারেশন আগামী দিনে চাকরি পেতে পারে”।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২০১৬ সালের এসএসসি-তে নিয়োগ পাওয়া প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যদিও পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আপাতত স্কুলে ফিরেছেন 'যোগ্য' শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের মেয়াদ। এর মধ্যে রাজ্য সরকারকে ফের পরীক্ষা নিতে হবে জানিয়েছে আদালত। কিন্তু গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি -র শিক্ষাকর্মীদের জন্য পূর্ববর্তী নিয়মই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন