
পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা জঙ্গীঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশান সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের ওপর চাপ বজায় রাখা উচিত বলে জানালো সিপিআইএম পলিটব্যুরো। বুধবার এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে ওই বিবৃতিতে সিপিআইএম পলিটব্যুরো জানিয়েছে, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী শিবির এবং পরিকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করেছে। সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, নয়টি জায়গায় সফলভাবে এই হামলা লক্ষ্যভিত্তিক, সুনির্দিষ্ট এবং প্ররোচনাহীন ভাবে করা হয়েছে।
পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক আহ্বান করা সর্বদলীয় বৈঠকে, সমস্ত রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্টপোষকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
সিপিআইএম-এর বিবৃতি অনুসারে, এই পদক্ষেপগুলির পাশাপাশি পহেলগাঁওয়ে নিরীহ মানুষের গণহত্যার জন্য দায়ীদের হস্তান্তর এবং তাদের ভূখণ্ড থেকে কোনও সন্ত্রাসবাদী শিবির পরিচালনা না করা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের উপর চাপ অব্যাহত রাখা উচিত। ভারত সরকারের উচিত জনগণের ঐক্য এবং দেশের অখণ্ডতা সুরক্ষিত রাখা।
উল্লেখ্য, গত ২৯শে এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শীর্ষ প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের সাথে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ার ধরণ, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে "সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা" দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ আঘাত” মোকাবিলার জন্য জাতীয় সংকল্পের উপরও জোর দিয়েছিলেন।
এরপরেই গতকাল রাতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের কমপক্ষে নয়টি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হানায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ১৪ দিন পর বুধবার মধ্যরাতে এই আঘাত হানা হয়েছে। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ৭ মে রাত ১.৫১ মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’ (Justice is Served)। এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশান সিন্দুর’।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন