জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) রিপোর্টে প্রথমে দেখানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ২,২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি। এরকম অবিশ্বাস্য রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ফের রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। এরপরই বুথের সংখ্যা কমে হল ৪৮০টি! অর্থাৎ ১৭২৮টি বুথের পার্থক্য রয়েছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রাজ্যের জেলা শাসকরাই ডিইও পদে কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের রিপোর্টে প্রথমে দেখানো হয়েছিল রাজ্যে এমন ২,২০৮টি বুথ আছে যেখানে গত এক বছরে কোনও মৃত্যু হয়নি, কোনও ভোটার স্থানান্তরিতও হননি। যা নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সোমবার এই বুথগুলির বিষয়ে ডিইও-দের কাছে তথ্য তলব করে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই বুথ সংক্রান্ত নতুন রিপোর্ট জমা পড়ে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এমন বুথ রয়েছে ৪৮০টি। এমন বুথের সংখ্যা সবথেক বেশি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, ১৫৯টি। এর মধ্যে রায়দিঘিতে ৬৬টি, কুলপিতে ৫৮টি, পাথরপ্রতিমায় ২০টি এবং মগরাহাটে ১৫টি বুথ রয়েছে।
এছাড়া কেবল মাত্র ১টি ফর্ম ফেরত আসেনি এমন বুথের সংখ্যা ৫৪২টি, ২টি ফর্ম ফেরত আসেনি এমন বুথ ৪২০টি। ৩টি ফর্ম আসেনি ৩৭২, ৪টি ফর্ম আসেনি ৩৭৪, ৫টি ফর্ম ফেরত আসেনি ৪৮১টি বুথে। এছাড়া ৬টি ফর্ম ফেরত আসেনি ৫৪৮টি বুথে, ৭টি ফর্ম আসেনি ৫৮৫টি বুথে, ৮টি ফর্ম ফেরত আসেনি ৬৭৮টি বুথে এবং ৯টি ফর্ম ফেরত আসেনি ৭৭৯টি বুথে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন