

লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন-কাণ্ডে তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে এবার বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ ধারায় কলকাতা নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট জমা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। বৃহস্পতিবার এনআইএ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারা-সহ একাধিক ধারা, ইউএপিএ (UAPA), ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে প্রায় ১২ বছর পর চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৪ জুনের ঘটনা। অভিযোগ ওঠে যে, লালগড়ের ধরমপুরে সিপিআইএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনার তদন্তভার যায় জেলা পুলিশের হাতে। পরে তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় এনআইএর (NIA) ওপর। চার্জশিটে বলা হয়েছে, সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো।
প্রসঙ্গত, তার আগে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনার মূলচক্রী হিসাবে এনআইএ ছত্রধরের নামে চার্জশিট দেয়। সেই ৫০ পাতার চার্জশিটে নাম ছিল মাওবাদী নেতা কিষেণজি, ছত্রধরের ভাই শশধর মাহাতো-সহ মোট ১৩ জনের। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০০৯ সালে ঝাড়গ্রামের কাছে দিল্লি- ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করেছিল মাওবাদীরা। তাতে অভিযোগ ওঠে ছত্রধরের বিরুদ্ধে। ওই চার্জশিটে এনআইএ দাবি করে, নিজেকে কারামুক্ত করার জন্য জেলে বসেই ছত্রধর ওই অপহরণের ছক কষেছিলেন। যদিও আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছাত্রধর মুক্তি পেয়েছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন