

কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগেই আক্রমণ শানিয়েছিল বিজেপি। এবার মুখ খুলল বামেরাও। আদালতের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, এমনটাই দাবি করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর অভিযোগের তীরও শাসকদলের দিকেই। সুজন চক্রবর্তীর মতো শীর্ষ বাম নেতা শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
ইতিমধ্যে, এই ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে বাম সংগঠনগুলি পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছে। স্বাস্থ্য ভবন, কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক বাম কর্মী সমর্থক।
বামফ্রন্ট একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। প্রবীণ বাম নেতা বলেছেন, 'কসবা, সোনারপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় টিকাকরণ শিবিরের কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। একজন ব্যক্তি কলকাতা পুরসভার লোগো সাইনবোর্ড ব্যবহার করল, নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দিল আর পুলিশ কিছু জানত না। অথচ ওই ব্যক্তির নাম পুলিশের খাতায় ছিল। শাসকদলের মন্ত্রী, সাংসদ, পুরসভার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে অবাধ যাতায়াত ছিল।'
তিনি এই ঘটনার প্রকৃত দোষী এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। তাই বামফ্রন্টের দাবি, আদালতের তত্ত্বাবধানে উচ্চপর্যায়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের বহু প্রভাবশালী এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জড়িত থাকার তথ্য সামনে এসেছে। যদিও তাঁরা কেউই স্বীকার করেননি। দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্র থাকার জন্য তদন্ত প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন