

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। নিকটবর্তী তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই তৃতীয় স্থানে চলে গেল তারা।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি জুড়ে এখন উৎসবের মেজাজে বাম-কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। সাধারণত উপনির্বাচনে দেখা যায় রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থীরাই জয় লাভ করেন। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বচনের ফল বলছে উল্টো কথা। রাজ্যে ২০১৬-র পর থেকে এই প্রথম কোন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী জয় অর্জন করল।
১৬ রাউন্ড শেষে কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৬১১টি ভোট। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিষ ব্যানার্জির মোট প্রাপ্ত ভোট ৬৪ হাজার ৬৩১টি। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৯৩টি ভোট।
উপনির্বাচনে জয়ের পরই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, "তৃণমূলকে বধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বাড়ছে, আগামীদিনে তৃণমূলকে আমরাই বধ করবে। এই বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। বাম-কংগ্রেস ও অন্যান্য আমাদের সমর্থকদের নিয়ে আগামী দিনে এই লক্ষ্য আমরা পূরণ করব।"
এছাড়াও তিনি বলেন, "মানুষ বাইরনের মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছে পশ্চিমবাংলার তৃণমূল তোমাদেরকে আমরা বর্জন করছি। এই জয়টা আমি মনে করি ছোটো স্ফুলিঙ্গ। এই স্ফুলিঙ্গ আগামীদিনে বাংলায় তৃণমূলের দুর্নীতির অট্টালিকাকে পুড়িয়ে খাক করে দেবে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন