

সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল সামনে আসতেই তৃণমূল ও মমতা ব্যানার্জিকে হুঙ্কার দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি অপরাজেয় নয়। এই উপনির্বাচন তার প্রমাণ দিল।
আজ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোটা রাজ্যের নজর ছিল এই উপনির্বাচনের দিকে। ত্রিমুখী লড়াইয়ে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল বাম ও কংগ্রেস জোট। ষোল রাউন্ড গণনা শেষে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হয়েছেন। ২২৯৮০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর ভোট শতাংশের হার ৪৮%। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস।
দলীয় প্রার্থীর এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূলকে আক্রমণ করে অধীরবাবু বলেন, "তৃণমূলকে বধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বাড়ছে, আগামীদিনে তৃণমূলকে আমরাই বধ করবে। এই বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। বাম-কংগ্রেস ও অন্যান্য আমাদের সমর্থকদের নিয়ে আগামী দিনে এই লক্ষ্য আমরা পূরণ করব।"
তিনি আরও বলেন, "আমি বলেছিলাম কংগ্রেস হারতে পারে, কিন্তু হারিয়ে যাবে না। আজ সাগরদিঘি সেটা প্রমাণ করে দিল। কংগ্রেস আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমরা তৃণমূলকে বাংলাতে হারাবো এবং বাংলা থেকে তাড়াবো।"
পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "এই নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হয় লড়েছিলাম। উপনির্বাচনে অনেক বিক্ষুব্ধ বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকরাও আমাদেরকে ভোট দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যে ভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিলেন সেটা এই ফলাফলের অন্যতম কারণ।"
ষোল রাউন্ড শেষে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন