Fake Medicine: রাজ্যে জাল ওষুধের কারবার রুখতে কড়া পদক্ষেপ! ১৩৭ রকমের ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি

People's Reporter: রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফ থেকে মোট ছ'দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, ওই ১৩৭ রকমের ওষুধ তুলে নিতে হবে বাজার থেকে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীগ্রাফিক্স আকাশ
Published on
Summary

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৩৭টি ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে এবং নকল ও নিম্নমানের ওষুধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কঠোর নির্দেশিকা চালু করেছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ এখন জনসাধারণের কাছে নিরাপদ ওষুধ পৌঁছানোর জন্য উৎপাদন লাইসেন্স যাচাই, QR কোড প্রমাণীকরণ এবং সরবরাহকারীদের শংসাপত্র যাচাই বাধ্যতামূলক করেছে।

জাল ওষুধের কারবার রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো রাজ্য সরকার। মোট ১৩৭ রকমের ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। পাশাপাশি, ওষুধের নাম ও ব্যাচ নম্বর দিয়ে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।

দিন কয়েক আগেই নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাল ওষুধ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো রাজ্য থেকে বাংলায় জাল ওষুধ ঢুকছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সতর্কতা জারির পরেই শনিবার ১৩৭ টি জাল ওষুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফ থেকে মোট ছ'দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, ওই ১৩৭ রকমের ওষুধ তুলে নিতে হবে বাজার থেকে। এছাড়া নির্দিষ্ট চ্যানেল ও বৈধ সংস্থার কাছ থেকে ওষুধ কিনতে হবে পাইকারি সংস্থাগুলিকে।

নির্দেশিকায় যে যে ওষুধগুলি বাতিল করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে - অস্ত্রোপচারের পর ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন থেকে আই ড্রপ, যক্ষ্মার ওষুধ, কেমো এবং রেডিওথেরাপির পর শারীরিক অসুস্থতা নিরাময়ের ওষুধ, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন, ফুসফুসের সংক্রমণ নিরাময়ের ওষুধ, খাদ্যনালি এবং পেটের আলসার সারানোর মতো ওষুধ।

নির্দেশিকায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, যে সংস্থার থেকে ওষুধ নেওয়া হবে তাদের লাইসেন্স বৈধ কিনা, তা যাচাই করে নিতে হবে। সেই লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিনের তাও খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া ভিন রাজ্য থেকে ওষুধ কিনলে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য অবশ্যই যাচাই করে নেওয়ার নির্দেশিকা রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জিএসটি নম্বর যাচাই করাও বাধ্যতামূলক। যে ৩০০ টি ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই ওষুধের কিউআর কোড যাচাই করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এর ফলে রাজ্যের ওষুধের জাল বিক্রি ও ব্যবহারের উপর কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে।

ছবি প্রতীকী
Medicine: গুণগত মান পরীক্ষায় ব্যর্থ ভারতের আরও ৪৯টি ওষুধ, তালিকায় বহু পরিচিত ট্যাবলেট
ছবি প্রতীকী
Fake Medicine: কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ অভিযানে খাস কলকাতায় উদ্ধার জাল ওষুধের চক্র, গ্রেফতার এক মহিলা

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in