

ভারতের আরও ৪৯ টি ওষুধ গুণগত মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হল। তালিকায় রয়েছে একাধিক পরিচিত ওষুধ। যার মধ্যে রয়েছে লাইফ ম্যাক্স ক্যান্সার ল্যাবরেটরিজ দ্বারা নির্মিত ক্যালসিয়াম ৫০০ এমজি এবং ভিটামিন ডি ৩ ট্যাবলেট। ওই ওষুধগুলি নির্ধারিত গুণমান পূরণ করতে পারেনি।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারা ৪৯ টি ওষুধ সামগ্রী চিহ্নিত করেছে, যেগুলি নির্ধারিত মান পূরণ করতে পারেনি। চারটে ওষুধকে ভেজাল হিসাবে চিহ্নিত করেছে সিডিএসসিও। ইতিমধ্যেই সেই চারটে ওষুধকে বাজার থেকে সরানো হয়েছে।
সিডিএসসিও –র প্রধান রাজীব সিং রঘুবংশী জানিয়েছেন, পরীক্ষা করা সমস্ত ওষুধের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ গুণমানের মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা থেকে পরিষ্কার কঠোর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা কার্যকরভাবেই নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করছে।
এই সমস্ত ওষুধের মধ্যে রয়েছে হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকসের মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট, রেইনবো লাইফ সায়েন্সেসের ডমপেরিডোন ট্যাবলেট এবং পুষ্কর ফার্মার অক্সিটোসিন ইনজেকশন। এছাড়াও রয়েছে সুইস বায়োটেক প্যারেন্টেরেলসের মেটফরমিন, ক্যালসিয়াম ৫০০ মিলিগ্রাম, লাইফ ম্যাক্স ক্যান্সার ল্যাবরেটরির ভিটামিন ডি ৩ ২৫০ আইইউ ট্যাবলেট এবং অ্যালকেম ল্যাবসের প্যান ৪০।
তালিকায় আরও রয়েছে একটি গজ রোল নন-স্টেরাইল রোলার ব্যান্ডেজ এবং ডিক্লোফেনাক সোডিয়াম ট্যাবলেট।
উল্লেখ্য, সিডিএসসিও প্রতিমাসে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করে। এর উদ্দেশ্য, বাজার থেকে গুণগত মান পূরণ করতে না পারা ওষুধগুলির উপস্থিতি কমানো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন