

নদীয়ার হাঁসখালির পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ। আবারও ধর্ষণ করে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ। তবে নির্যাতিতার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হওয়ায় কোনোক্রমে প্রানে বেঁচে গেছেন তিনি। আপাতত মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গোটা এলাকাজুুড়ে থমথমে পরিস্থিতি।
জানা গেছে, রাতে শৌচাগারে যাওয়ার পথে ৪ থেকে ৫ জন দুষ্কৃতি ওই মহিলাকে আক্রমণ করে। হাত পা বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদেরই ছাদে। তারপর চলে নির্যাতন। চিৎকার করলে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সন্তানদেরও খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। তারপর পুড়িয়ে মারার জন্য গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে তখন চিৎকার করে ওঠেন নির্যাতিতা। ততক্ষণে বাড়ির আশেপাশে লোক জড়ো হয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে তড়িঘড়ি পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করে। যদিও পরিবারের দাবি গনধর্ষণ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২ জন দুষ্কৃতিকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, হাঁসখালি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে আজ আদালতে পাঠাল পুলিশ। “আমি কিছু জানিনা” - আদালতে তোলার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালী। তাকে রানাঘাট মহাকুমা আদালতে তোলা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন