‘চোর’, ‘বিজেপির দালাল’ - বিজেপি থেকে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করা সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ কাটোয়ায়

নির্বাচনের আগেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল। তারপর দলবদলের কথা বেমালুম অস্বীকার করে দাবি করেন, আমি তো চিরকাল তৃণমূলের ছিলাম।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুনীল মণ্ডল
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুনীল মণ্ডলফাইল চিত্র
Published on

দলবদল পুরোপুরি অস্বীকার করে গিয়েছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তৃণমূল থেকে বিজেপি, বিজেপি হয়ে আবার তৃণমূল - এই ছিল তাঁর গত কয়েক মাসের যাত্রাপথ। এবার তিনি স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। ঘটনাস্থল কাটোয়ায় গাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকা।

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। পরে অবশ্য তাঁরা বিজেপির ফলাফল দেখে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন। নির্বাচনের আগেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল

পরে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একপ্রকার মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০ আসন পাবে বলে যে বিজেপি নেতৃত্ব প্রচার চালিয়ে এসেছিল, তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি আসন সংখ্যা। তারপর সেই সুনীল মণ্ডলকেই সংসদে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের বিক্ষোভে। দলবদলের কথা বেমালুম অস্বীকার করে দাবি করেছিলেন, আমি তো চিরকাল তৃণমূলের ছিলাম। এহেন সুনীল মণ্ডলকেই তাড়া করল তাঁর ইতিহাস। কাটোয়ায় গাজিপুর পঞ্চায়েতে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বর্ধমান পূর্ব-এর সাংসদকে।

বুধবার কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের গাজিপুর পঞ্চায়েতের মালঞ্চা গ্রামে ব্রাহ্মণী নদীর উপরে একটি সেতুর নির্মাণকাজ প্রদর্শন করতে গিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল। ২০১৯ সালে এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়। সেই সেতুর নির্মাণকাজ কতটা এগিয়েছে, তারই তদারকি করতে গিয়েছিলেন সাংসদ। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা।

শুধু তাই নয়, সাংসদকে ঘিরে স্থানীয়রা, ‘চোর’, ‘বিজেপির দালাল’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলতে থাকেন। পরিস্থিতি বুঝে বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়েন সাংসদ। বিক্ষোভের জেরে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। সাংসদের দাবি, কয়েকজন মাতাল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুনীল মণ্ডল
‘শুভেন্দু একটাও কথা রাখেননি’ - বেসুরো সুনীল মণ্ডলের আবার তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in