

ভুয়ো স্যালাইনকাণ্ডের প্রতিবাদে ডিওয়াইএফআই-এর বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয় বাম যুব কর্মীদের। এই ঘটনার জেরে মীনাক্ষী মুখার্জী-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল পশ্চিম মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে জাল স্যালাইনের জেরে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। অসুস্থ আরও চার প্রসূতি। এই আবহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার মেদিনীপুর শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে সিপিআইএম-এর ছাত্র যুব ও মহিলা সংগঠন। মিছিল পঞ্চুর চক থেকে রিং রোড হয়ে জেলাশাসকের অফিসে পৌঁছালে পুলিশ তা আটকে দেয়।
এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় সিপিআইএম ছাত্র নেতাদের। আহত হন বেশ কিছু সিপিআইএম কর্মীও। এই ঘটনায় উল্টে বাম ছাত্র যুবদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করে পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের হেনস্থা, গালিগালাজ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত করা, ইট-পাথর ছুড়ে পুলিশের সুরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষতি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী। তিনি বলেন, “যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা লড়েছি, তখনই পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পুলিশ লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল সেদিন। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যেত”।
এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকিরও অভিযোগ আনা হয়েছে সিপিআইএম কর্মীসমর্থকদের পক্ষ থেকে। জানা যাচ্ছে, জেলাশাসক দপ্তরে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল থাকা আরও ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছে পুলিশ। যদিও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগাম জামিনের জন্য তাঁরা আবেদন করবেন না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন