

সিপিআইএম-র 'ভাঙর চলো' আটকাতে স্থানীয় নেতৃত্বের বাড়ি বাড়ি নোটিশ দিয়েছে ভাঙর থানার পুলিশ। তৃণমূলের মদতেই পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি সহ এই ধরণের কাজ করছে। এমনটাই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিআইএম।
ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আইএসএফ সহ বাম দলগুলি একাধিক বার পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। মঙ্গলবারও কলকাতায় এই দাবিতে মিছিল করে বাম, ISF-সহ ১৮টি সংগঠন। বুধবার অর্থাৎ আজকেও বামেদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি 'ভাঙর চলো' রয়েছে। সেই কর্মসূচি ঘিরে ভাঙরের পরিস্থিতি আপাতত উত্তপ্ত।
সিপিআইএম সূত্রের খবর, ভাঙরের দলীয় নেতৃত্ব তুষার ঘোষ, আজিজার রহমান এবং রশীদ গাজির বাড়িতে নোটিশ দেয় পুলিশ। তাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সিপিআইএম জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ীর নাম উল্লেখ করে লেখা আছে তাঁর নেতৃত্বে যে মিছিল হওয়ার কথা ছিল তা করা যাবে না।
সিপিআইএম-র অভিযোগ, সোমবার রাত থেকেই ভাঙরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। এটা করার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য মিছিল বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও তৃণমূল নেতা সমাবেশ করছে কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিআইএম। মিছিলের যাতে অনুমতি দেওয়া হয় সেই জন্যই আদালতে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব।
এই প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "নওশাদ সিদ্দিকিকে মন্ত্রী করার এবং কোটি কোটি টাকার টোপ দিয়ে তৃণমূল কিনতে চেয়েছিল। যখন কিনতে পারেনি তখন পুলিশ কাস্টডি চাইছে। কারণ সেখানে গিয়ে কিছু পুলিশ যাতে ব্রেন ওয়াশ করতে পারে। গত ১০-১২ বছর ধরে তৃণমূল এটাই করে আসছে।"
তিনি আরও বলেন, "মিছিল হবেই। আমি নিজে যাব। যতই পুলিশের মাধ্যমে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করুক না কেন কোনো লাভ হবে না।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন