

কেশপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসের দখল নিল সিপিআইএম। শাসক দলের তরফ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে। যদিও পার্টি অফিস দখলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য অনুসারে, সিপিআইএম-এর এই অফিস ক্ষমতায় আসার পরে দখল করে তৃণমূল। সেই অফিস উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক সিপিআইএম-র পার্টি অফিস দখল হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে দখল হওয়া একটি পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করল সিপিআইএম। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা তৃণমূলের অস্বস্তি কার্যত বাড়িয়েছে। শাসক দলের অভিযোগ, শনিবার রাতে সিপিআইএম কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের পার্টি অফিস থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় সেই পার্টি অফিস খুলে দেওয়া হয়।
ওই অঞ্চলের সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, ২০১১ সালের পর তৃণমূল নিজেস্ব পার্টি অফিস বানিয়েছে কম। সিপিআইএমের পার্টি অফিসগুলো দখল করেছে বেশি। আর এই পার্টি অফিস আগে বামেদেরই ছিল। সেটাই আবার উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, পার্টি অফিসে কে বা কারা দখল করেছে আমার জানা নেই। স্থানীয় নেতৃত্ব জানে।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি কেশপুরে জনসভা করেছেন। আবার যে গ্রামের ঘটনা সেই মহিষদাতেই ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের বাড়ি। অভিষেক ব্যানার্জি যেখানে সংগঠন আরও মজবুত করার বার্তা দিচ্ছেন সেখানে তৃণমূলেরই পার্টি অফিস দখল হয়ে যাওয়ার ঘটনা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন