Karandighi: বেহাল রাস্তা নিয়ে বচসা! দলের কর্মী সমর্থকদের তাড়া খেয়ে গ্রাম ছাড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

People's Reporter: দলের মিটিং শেষে গ্রামের তৃণমূল নেতা বিধায়কের কাছে বেহাল রাস্তাগুলি কবে ঠিক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তখন বিধায়ক বৃদ্ধকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। সেই সময় শুরু হয় বচসা।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি - সংগৃহীত
Published on

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পর এবার নিজের এলাকায় দলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তর দিনাজপুরে করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল (TMC MLA)। এমনকি উত্তেজিত জনতা বিধায়কের গাড়িও তাড়া করেন। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)। কয়েকদিন আগে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও নিজের এলাকায় দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক গৌতম পাল। পরপর এই ঘটনায় অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সভা রয়েছে। জানা গেছে, সেই সভার প্রচারে শুক্রবার করণদিঘি ব্লকের লাহুতাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘলগাও গ্রামে গিয়েছিলেন বিধায়ক। দলের মিটিং চলাকালীন গ্রামের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত এক বৃদ্ধ বিধায়কের কাছে বেহাল রাস্তাগুলি কবে ঠিক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। বারবার আবেদন সত্ত্বেও কেন রাস্তাগুলি ঠিক করা হচ্ছে না, সেটাও জানতে চান তিনি। বিধায়ক জানান, মিটিং শেষে জানাবেন তিনি।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মিটিং শেষে ওই প্রবীণ তৃণমূল নেতা বিধায়কের কাছে একই প্রশ্ন ফের জিজ্ঞাসা করলে, বিধায়ক বৃদ্ধকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। সেই সময় শুরু হয় বচসা। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত হয়ে পড়েন গ্রামের তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পুলিশ কোনওরকমে জনরোষ সামলে বিধায়ককে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে তোলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ি ধাওয়া করেন গ্রামের তৃণমূল সমর্থকরা।

যদিও এই নিয়ে এখনও গৌতম পালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে করণদিঘির সিপিআইএম সম্পাদক মইনুল হক বলেন, "চারিদিকে চাকরি চুরি, মাটি কাটার অবৈধ লেনদেন, রেশন ডিলারদের সাথে মাসোহারা, পঞ্চায়েত জেলা পরিষদের টাকা উন্নয়নের নামে বেমালুম হজম করে দেওয়ার ফল এবার ফলছে। তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়কদের ঘিরে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ক্রমশ বাড়ছে"।

তিনি আরও বলেন, "দিঘলগাও গ্রামে তৃণমূলের মিটিংয়ে বিরোধীরা তো যাননি, গিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মীরাই। অশালীন আচরণ আর অসভ্যতার ফলে জনরোষের সামনাসামানি হয়েছেন বিধায়ক গৌতম পাল। বিক্ষোভের মুখে পড়লে মন্ত্রী-বিধায়করা যে পালানোর পথ পান না, তা এর আগেও দেখা গিয়েছে। বিধায়ক-তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে পুলিশ না থাকলে মানুষই নিজেদের অধিকার বুঝে নেবে"।

প্রতীকী ছবি
কেন্দ্রের 'পুশব্যাক' নীতির জেরে বাংলাদেশী সন্দেহে বিভিন্ন রাজ্যে আটক বঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকরা!
প্রতীকী ছবি
'দেশে গরীবের সংখ্যা বাড়ছে, সম্পদ ধনীদের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে' - উদ্বেগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in