

৩ ঘন্টা অতিক্রান্ত, এখনও একাধিক পুরসভায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। আর এই সিবিআই তদন্ত নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, পুরোটাই রাজনীতি। কেবল ত্রাস সৃষ্টির জন্য এই কাজ হচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে সামনে এসেছিল রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য। অভিযোগ উঠেছিল অর্থের বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে পুরসভাগুলিতে। এবার ওই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। বুধবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, সমস্ত বিষয় না জেনে মন্তব্য করা উচিত হবে না। তবে যা হচ্ছে তা পুরোটাই রাজনীতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। যে পুলিশ শেষ কথা বলবে নাকি মানুষ। যে দোষ করেছে সে শাস্তি পাবে। আমি যদি অন্যায় করি তাহলে আমিও শাস্তি পাব। কে কোথায় পুরসভার নামে টাকা নিয়েছে সেটাতো আমি জানি না। একজন মন্ত্রীর সেটা জানার কথাও নয়। তার দায় আমি কেন নেবো? তাহলে বলতে হয় রেল দুর্ঘটনা ঘটলো তার সব দায় প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
পুরাসভাগুলিতে হানার আগে সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। এরপরই রাজ্যজুড়ে একাধিক পুরসভায় ম্যারাথন তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। যে যে পুরসভায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে – দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, কামারহাটি, চুঁচুড়া, নিউ ব্যারাকপুর, শান্তিপুর, পানিহাটি, কাঁচরাপাড়া ইত্যাদি।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখার জন্যই এই অভিযান। নিয়োগের আগে কী রেজোলিউশন পাশ হয়েছিল, তার কপি; পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির কপি; প্রার্থীদের তালিকা ইত্যাদির সন্ধান করছে সিবিআই। অয়ন শীলের সংস্থা কীভাবে টেন্ডার পায়, পুর আধিকারিকদের কাছে সেই বিষয়েও জানতে চাইবে বলে সূত্রের খবর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন