
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির বিরুদ্ধে সরব হলেন আরও এক ধৃত। কুন্তল ঘোষের পর ইডির জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি বলেন জেরায় বার বার তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
কুন্তল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল ইডি নাকি অভিষেক ব্যানার্জির নাম বলানোর জন্য তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও ইডি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। এবার কালীঘাটের কাকুও কার্যত এক সুরে কথা বললেন। একটি চিঠির মাধ্যমে তিনি জানান, দোষ স্বীকার করার জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি।
বিচারভবনের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর আইনজীবীর সাথে যেন দেখা করতে দেওয়া হয়। উল্লেখ করেছেন কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর, ১৯৭৩-র ৪১ডি ধারা। এই ধারা অনুযায়ী ইডির জেরার সময় অভিযুক্ত তাঁর আইনজীবীকে নিয়েই বসতে পারেন। তাঁর আইন অইনজীবী দেখা করতে এলেও ইডির আধিকারিকরা ঢুকতে দেননি বলেই অভিযোগ কালীঘাটের কাকুর। সেই জন্যই চিঠিটি লিখেছেন। আদালত তাঁর আইনজীবীকে একদিন ছাড়া একদিন আধ ঘন্টার জন্য সুজয়কৃষ্ণের সাথে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করে ইডি। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের ইডি হেফাজত হয় কালীঘাটের কাকুর।
প্রসঙ্গত, ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। এরপর অন্য এক ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখেও তাঁর নাম শোনা যায়। আর এক ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয় কৃষ্ণের লেনদেনের কথা তদন্তের সময় উঠে আসে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন