মুদির দোকান থেকে রকেট গতিতে উত্থান, ‘কালীঘাটের কাকু’র RSS যোগও রয়েছে, দাবি পরিবারের

ED দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সরাসরি আঁতাঁত ছিল সুজয় কৃষ্ণের। কাদের কাদের চাকরি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে বলে দিতেন ‘কালীঘাটের কাকু’।
মুদির দোকান থেকে রকেট গতিতে উত্থান, ‘কালীঘাটের কাকু’র RSS যোগও রয়েছে, দাবি পরিবারের
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) সম্পর্কে যে তথ্যে সামনে এসেছে ইডি (ED) ও সুজয় কৃষ্ণের ভাই অজয় কৃষ্ণ (Ajay Krishna Bhadra), তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বুধবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED) দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সরাসরি আঁতাঁত ছিল সুজয় কৃষ্ণের। কাদের কাদের চাকরি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে বলে দিতেন ‘কালীঘাটের কাকু’। শুধু তাই নয়, ৭০ লক্ষ টাকা সুজয় কৃষ্ণকে দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আর এক ধৃত কুন্তল ঘোষ।

ইডির এই চাঞ্চল্যকর দাবির মাঝে সুজয় কৃষ্ণের দাদা অজয় কৃষ্ণ বলেন, ভাই অধুনা তৃণমূল হয়েছেন বটে, কিন্তু তাঁদের পরিবার আগাগোড়াই গেরুয়াপন্থী। কয়েক প্রজন্ম ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) সক্রিয় কর্মী তাঁরা, এমনকি সুজয় কৃষ্ণ নিজেও সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন অজয় কৃষ্ণ। 

অজয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমি জন্মে থেকে RSS করেছি। আমার বড়দি এবং সুজয়ও বহু দিন RSS করেছে। হয়ত ততটা সক্রিয় ছিল না। RSS তো রাজনৈতিক দল নয়। পরে ও তৃণমূল করে।’

অজয় কৃষ্ণ ভদ্র আরও বলেন, "বাড়িতেই একটা টালির ঘর ছিল। যেটা ছিল মাটির রান্নাঘর। তার জানলা ভেঙে একটা মুদির দোকান চালাত। তারপরে ক্লাসিক ফিনান্সে ম্যানেজারির চাকরি করত। যতদূর জানি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাকরি করত। কোথায় অফিস, কী অফিস কিছু জানি না। দু-একবার অভিষেক ওঁর বাড়িতেও এসেছিল, দেখেছি। অন্যায় করলে শাস্তি পাবে।"

মঙ্গলবার, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করে ইডি। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

প্রসঙ্গত, ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। এরপর অন্য এক ধৃত কুন্তল ঘোষের মুখেও তাঁর নাম শোনা যায়। আর এক ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সুজয় কৃষ্ণের লেনদেনের কথা তদন্তের সময় উঠে আসে।

গত ৪ মে, তাঁর বেহালার বাড়ি ও ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। সেই সময় ‘কাকু’র বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। জানা যায় তিনটি সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন তিনি। আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে তদন্তে নামে ইডি। ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে দেড় হাজার পাতার নথি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in