পঞ্চায়েতের আগে সংগঠনে জোর দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের চিন্তা বাড়াচ্ছে আইএসএফ

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা যাচ্ছে ভাঙড়ের জাগুলগাছি, প্রাণগঞ্জ সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় লিড পেয়েছে আইএসএফ।
তৃণমূলের চিন্তার কারণ ISF!
তৃণমূলের চিন্তার কারণ ISF! গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজেদের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের চিন্তার অন্যতম কারণ হচ্ছে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF)।

আইএসএফ-র পথ চলা মূলত ২১-র বিধানসভা নির্বাচন থেকে। বাম কংগ্রেসের সমর্থনে রাজ্যের একটি মাত্র বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন আইএসএফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড় বিধানসভায় জেতার পর থেকেই ক্রমশ নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করছে আইএফএফ। শুধু ভাঙড় নয় রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রেও শক্তি বৃদ্ধি করছে নওশাদ সিদ্দিকির দল। নিজের দল ভিত আরও শক্ত করতে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ - একাধিক জেলার বিভিন্ন বিধানসভা অঞ্চলে ছুটে বেড়াচ্ছেন একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে আইএসএফ। ২০১১ সালে পালাবদলের সময়ও সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক হাতিয়ার করেই ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর থেকেই ধীরে ধীরে সংখ্যালঘু ভোটারদের আস্থা কমছে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল। যদিও সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছে। তবে এই জয়ের নেপথ্যে আইএসএফ-এর একদম কোনো ভূমিকা ছিল না সেকথা হয়তো বলা যাবে না।

যদি শুধুমাত্র ভাঙড়ের রাজনৈতিক চরিত্র বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে এই মুহূর্তে অ্যাডভান্টেজ আইএসএফ একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বর্তমানে প্রতিনিয়ত ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসছে। অথচ এই ভাঙড়েই ২০১৩ সাল থেকে পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে আসছে তৃণমূল।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের সবক'টি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিআইএম মাত্র ২০টির বেশি বুথে জিতেছিল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১ নম্বর ব্লকের প্রায় সবক'টি আসনে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে বিরোধীরা প্রার্থীই দিতে পারেনি। ফলে ওই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে তৃণমূল।

এখন প্রশ্ন হলো আইএসএফ বিধায়ক কীসের ভিত্তিতে বার বার পঞ্চায়েতে জেতার কথা বলছেন? ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা যাচ্ছে জাগুলগাছি, প্রাণগঞ্জ সহ একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় লিড পেয়েছে আইএসএফ। তবে সেই লিড ধরে রাখার পাশাপাশি বাকি পঞ্চায়েতগুলিতেও তৃণমূলকে হারিয়ে আইএসএফ জয়ী হয় কিনা সেটা সময় বলবে।

আরও পড়ুন

তৃণমূলের চিন্তার কারণ ISF!
Abhishek Banerjee: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে CBI তলব, শনিবারই হাজিরা
তৃণমূলের চিন্তার কারণ ISF!
সিলিকোসিস সহ সমস্ত পেশাগত রোগীদের দাবি আদায়ে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in