

লোকসভা নির্বাচনে জয়ী কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নতুন একটি কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল দীলিপ ঘোষকে। পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে ফের হতাশা প্রকাশ করলেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ২০২৪ সালে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই বঙ্গ বিজেপি লোকসভায় ২টি আসন থেকে ২০১৯ সালে ১৮টি আসনে জিতেছিল। ২০১৬ সালে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩ থেকে ২০২১ সালে ৭৭ হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালে পার্টির নির্দেশে তাঁকে নিজের জয়ী কেন্দ্র মেদিনীপুর ছেড়ে অন্য কেন্দ্রে লড়াই করতে হয়। যা নিয়ে ২০২৪ সালেই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ফের একবার সেই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়।
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, পার্টি দু’বার আমার ইচ্ছানুযায়ী টিকিট দিয়েছিল (২০১৬ এবং ২০১৯) এবং একবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে টিকিট দিয়েছিল (২০২৪ সালে)। আমি কোনও দিনই কাউকে নির্বাচনে লড়াই করব বলে টিকিট চাইনি। পার্টি যা বলে করেছি। যেখানে লড়াই করতে বলেছে করেছি। আমি একজন দলের কর্মী। যতদিন রাজনীতিতে আছি কাজ করে যাব।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে প্রায় ৯০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ২০২৪ সালে তাঁকে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়। মেদিনীপুর কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়ার কাছে ২৭ হাজারের একটু বেশি ব্যবধানে পরাজিত হন।
দিলীপ ঘোষও নিজের নতুন কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে হার স্বীকার করেন। ১ লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি ব্যবধানে পরাজিত হন দিলীপ। ২০১৯ সালে এই আসনে এস এস আলুওয়ালিয়া বিজেপির টিকিটে প্রায় ২৫০০ ভোটে জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন