

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই শামিল ছিল। 'নন্দীগ্রাম দিবস'-এ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে ৪০-র বেশি মামলা হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেছেন।
সেইসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী সোমবার কালো পতাকা নিয়ে এলাকায় মিছিল করেন। এরপর সভা থেকে তিনি বলেন, "রক্তাক্ত সূর্যদোয়ের ১৮ তম বছর এটি। প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ-নিরস্ত্র মিছিলে, চপ্পল পরে, কালো পোশাক পরা, গড়বেতা এবং কেশপুর থেকে যে হার্মাদ বাহিনী আনা হয়েছিল, তাঁরা অ্যাটাক (আক্রমণ) করেছিল। ১১জন অপহৃত হয়েছিল।"
তিনি আরও বলেন, "আমি আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, ৪২ টা মামলা খেয়েছি।... এই আন্দোলনে তৃণমূলও ছিল, বিজেপিও ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান তো অস্বীকার করা যায় না। তিনি প্রথম এসে অবরোধ তুলেছিলেন। খেঁজুরির দিকে সব অবরোধ উনিই তুলেছিলেন। গণহত্যার একদিন পরে, উনি (লালকৃষ্ণ আডবাণী), সুষমা স্বরাজ এবং রাজনাথ সিং এসে অবরোধ তুলেছিলেন। লালকৃষ্ণ আডবাণী, সেসময় বিরোধী দলনেতা ছিলেন লোকসভার, তাঁর নেতৃত্বে ৬২ দিন পার্লামেন্ট বন্ধ ছিল।"
পাশাপাশি সভা থেকেই মমতা ব্যানার্জীকে তীব্র আক্রমণ করলেন একসময়ে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আসল পরিবর্তন ২০১১ সালে হয়নি। আমরা ভুল করেছি, একজন পরিবারবাদী, দুর্নীতিগ্রস্থ, বেকারদের সর্বনাশকারী, হিন্দু নিধনকারী এবং কার্যত উত্তর কোরিয়ার প্রশাসকের মতো, প্রতিহিংসাপরায়ণকারীকে মুখ্যমন্ত্রী করার ক্ষেত্রে আমাদেরও অবদান ছিল। স্বীকার করি, আমরা ভুল করেছি। জনগণকে নিয়ে আমরাই আসল পরিবর্তন আনব।
অন্যদিকে সোমবার 'নন্দীগ্রাম দিবস' নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি লেখেন, ""ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম"। নন্দীগ্রাম দিবসে, নন্দীগ্রাম-সহ পৃথিবীর সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি"।
এক্স মাধ্যমে 'নন্দীগ্রাম দিবস' নিয়ে সিপিআইএম ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীও। তিনি লেখেন, "২০০৭ সালের এই দুর্ভাগ্যজনক দিনে, নন্দীগ্রামের সাহসী মানুষ তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বর্বর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সরকার তাঁদের জমি, মর্যাদা এবং সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। অত্যাচারীর চেহারা বদলেছে, নিপীড়ন একই রয়ে গেছে। গতকালের হার্মাদরা আজকের জল্লাদ হয়ে ফিরে এসেছে। যেখানে একসময় বামফ্রন্ট গোপন "বৈজ্ঞানিক জালিয়াতির" উপর নির্ভর করত, বর্তমানে নীরব অদৃশ্য জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন