
সোমবার রাতে মেদিনীপুরে প্রয়াত হলেন দীপক সরকার। দীর্ঘ সময় তিনি সিপিআইএম অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে জেলা ভাগ হবার পর তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গতকাল রাত সোয়া ১১টা নাগাদ নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সিপিআইএম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত জেলা পার্টি অফিসে তাঁর দেহ শায়িত থাকবে। এরপর পার্টি অফিস থেকে শোকমিছিল শুরু হবে। গোলকুঁয়াচক, পঞ্চুরচক, ক্ষুদিরাম স্ট্যাচু, কেরানিতলা হয়ে মেডিক্যাল কলেজে শেষ হবে শোকমিছিল। এরপর সেখানেই দেহদান করা হবে।
১৯৮৪ সালে অধ্যাপনা ছেড়ে দলের সর্বক্ষণের কর্মী হন। প্রয়াত সুকুমার সেনগুপ্ত তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক দীপক সরকার জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি ছিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও। এছাড়াও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা হিসেবেও তাঁর পরিচিত ছিল। একসময়ের দাপুটে নেতা দীপক সরকার বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন তাঁর নিয়মানুবর্তিতার জন্য। ১৯৯২ সাল থেকে একটানা জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৫ সালে তিনি জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে এবং ২০২২ সালে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে তিনি অব্যাহতি নেন।
মেদিনীপুরে বহু কিছু গড়ে তোলার কারিগর ছিলেন প্রয়াত সিপিআইএম নেতা। তাঁর হাত ধরেই গড়ে উঠেছিল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট অ্যাকাডেমি, বিদ্যাসাগর ইন্সটিটিউট অফ হেলথ, শহিদ ক্ষুদিরাম পরিকল্পনা ভবন। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার পেছনেও তাঁর অবদানের কথা মেদিনীপুরের মানুষের অজানা নয়।
বর্ষীয়ান নেতা দীপক সরকারের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন