

জনগণের পঞ্চায়েত গড়ার ডাক দিলেন সিপিআইএম-র প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর অন্যতম সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার দীঘা থেকে এই বক্তব্য শোনা গেল তাঁর মুখে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে লক্ষ্য করে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করছে সিপিআইএম। দীঘাতে সিপিআইএম-র সমাবেশে তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'দুই দলই ধর্মের নামে রাজনীতি করছে। মমতা ব্যানার্জি আগেই বলেছিলেন বিজেপি তৃণমূলের স্বাভাবিক মিত্র। এমনকি কিছু দিন আগেই মমতা ব্যানার্জির মুখে শোনা গিয়েছিল তিনি সরাসরি বিজেপি করেননা। তার মানে তিনি গোপনে করেন।'
বাম নেতা আরও বলেন, তৃণমূলের ঘাসফুল প্রতীক নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিজেপি-আরএসএস করে দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জি একবার বলেন আরএসএস ভালো, মোদী খারাপ। পরে আবার বলেন মোদী ভালো, অমিত শাহ খারাপ। কিন্তু সেই অমিত শাহর সাথে আবার গোপনে নবান্নে বৈঠক করেন। বিজেপি-তৃণমূল নিজেদের মধ্যে বিরোধিতা করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মন্দির নিয়ে রাজনীতি করছে দুই দল। অযোধ্যায় যদি বিজেপি রাম মন্দির তৈরি করে দীঘাতে পাল্টা জগন্নাথ মন্দির তৈরি করছেন মমতা ব্যানার্জি। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে, মানুষ খেতে পাচ্ছে না সেদিকে নজর নেই। এদের একটাই লক্ষ্য। তা হল বামপন্থীদের আটকানো।'
পাশাপাশি সিপিআইএম নেতা বলেন, দুই দলের বোঝাপড়ার কথা মানুষকে বোঝাতে হবে। মানুষ যাতে ভুল পথে চালিত না হয় সেদিকেই নজর দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। গ্রামের প্রতিটা বুথে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। তবেই গড়ে উঠবে জনগণের পঞ্চায়েত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন