
কালীগঞ্জ, কসবার পর এবার খড়গপুর। অভিযোগের নিশানা সেই তৃণমূলের দিকে। সোমবারের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার। তবে ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই স্থানীয় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন। বেশ কিছু মানুষ তৃণমূল নেত্রীর আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে থানা ঘেরাও করে আছেন। খড়গপুর টাউন থানায় তৃণমূল নেত্রী বেবী কোলের বিরুদ্ধে প্রহৃত বাম নেতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাম নেতা অনিল দাস ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে জানান, তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী বেবি কোলে ওই এলাকায় একের পর এক অন্যায় কাজ করছে। আমরা সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি এবং থানায় অভিযোগ জানাই। আজ ওরা পরিকল্পিতভাবেই ওখানে বসে ছিল। আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেছে। আমার মোবাইল, তিন হাজার টাকা সব ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাকে আজ ওরা মেরেই ফেলতো।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। খড়গপুরের খরিদা এলাকায় স্থানীয় এক বাম সংগঠনের প্রবীণ নেতা একটি ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধোর করে এক তৃণমূল নেত্রী। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ওই নেত্রী বাম নেতাকে রাস্তায় ফেলে জুতো দিয়ে মারছেন। বৃদ্ধের চোখে মুখে রঙ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর নাম বেবী কোলে। স্থানীয় বাম নেতা অনিল দাসকে তিনি প্রকাশ্যে মারধোর করেন।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে তৃণমূলের লোকজন স্থানীয় এক মহিলার শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে দেয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সিপিআইএম নেতা অনিল দাস। তিনি ওই মহিলাকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই সোমবার স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবী কোলে দলবল নিয়ে অনিলবাবুর ওপর চড়াও হন।
তৃণমূল নেত্রীর এই আচরণে প্রবল অস্বস্তিতে শাসক দল। ঘটনা প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, এই ধরণের আচরণ সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই নেই। এই ঘটনায় বেবী কোলে সহ যারা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার আবেদন জানাচ্ছি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন