
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রবিবার ডানকুনিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম বলেন, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে রাজ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বিদেশি টাকা। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের নির্বাচনে ভোট লুটের নামে টাকা ব্যবহার হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে হুগলির ডানকুনিতে চলছে সিপিআইএম-এর ২৭ তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম এবং হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ।
এদিন সেলিম বলেন, চিটফান্ডের নামে বিদেশের টাকা এ রাজ্যে তৃণমূলের ঘরে ঢুকেছে। গুন্ডা কিনতে, ভোট লুটের কাজে সেই টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলই মানুষের ভোট প্রভাবিত করতে বিদেশি টাকা ব্যবহার করেছে। তাই এরা একে অপরকে দোষারোপ করে না।
তিনি আরও বলেন, দেশের নিরাপত্তার জন্য বিদেশি টাকা কোথা থেকে আসে তা জানা দরকার। সেই টাকা যদি প্রশাসনকে কেনার জন্য, ভোটের জেতার জন্য ব্যবহার হয় তাহলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপের সমান। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন নিয়েও এদিন তিনি অভিযোগ করেন। সেলিম বলেন, লোকসভা নির্বাচনে টাকা ছড়িয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা হয়েছিল। বেলডাঙায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছিল। গণনা কেন্দ্র কেনা হয়েছিল। কীভাবে তা করা হয়েছিল তার সব তথ্য আমার কাছে আছে।
তিনি আরও বলেন, এই রাজ্যে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে যে বাইনারি তৈরি করা হয়েছে তা অবশ্যই ভাঙবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় মানুষ চোর ধরো জেল ভরো বুঝেছিলেন। বুঝেছিলেন তৃণমূল আর বিজেপি এক। বাইনারি ভেঙেছিল। আগামীতেও এই বাইনারি ভাঙতে বাধ্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিদ্যুতের অবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি সিইএসসি-কে চ্যালেঞ্জ করছি ২০১১-র পর থেকে রাজ্যের কোথায় বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে তারা দেখাক। দেখা যাবে কালীঘাটের একটিমাত্র বাড়িতে কয়েকশো গুণ বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন