
গণশক্তির ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধের সুর চড়ালেন বাম নেতৃত্বরা। বাম নেতারা জানান, তাঁরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নন।
শুক্রবার কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সিপিআইএম-র মুখপত্র গণশক্তির ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব। অনুষ্ঠান থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বার্তা দেন মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল আর বিজেপি উভয়েই বাংলাদেশ সম্পর্কে ভীতি জাগিয়ে এখানকার মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ঘটাচ্ছে। ওদের আসল উদ্দেশ্য এই সুযোগে আরজি কর, চাকরি চুরি, রুটিরুজির ইস্যুকে চাপা দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, 'মোদী যেভাবে পাকিস্তানে 'ঢুকে মারার' হুমকি দিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন, সেই পথেই রাজ্যের শাসকদল বাংলাদেশ ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিধানসভা নির্বাচন জিততে চাইছে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যা যা দরকার তা লুঠ হয়েছে বাংলাদেশে। সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াচ্ছে। সেই হিংসাকে বিজেপি আর তৃণমূল আমাদের রাজ্যের মধ্যে ছড়াতে চাইছে। বাংলাদেশ যদি ইসলামিক রাষ্ট্র হয় তাহলে বিজেপির সুবিধা হবে ভারতকে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র করতে।'
সেলিম বলেন, ৭১-র মুক্তিযুদ্ধে মানুষ ধর্মের উপরে উঠে গুরুত্ব দিয়েছিল রাষ্ট্রকে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছিল। কিন্তু এখন জামাত সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে। কমিউনিস্ট পার্টি কোনও দিন এই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সমর্থন করে না।
অন্যদিকে, সিপিআইএম-র প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "কমিউনিস্টদের কাজ সব অংশের মেহনতি মানুষকে একজোট করা। কমিউনিস্টদের সাথে কোনও ধর্মের বিরোধ নেই। আমরা কোনও দিনই ধর্মের বিরোধিতা করি না। বিরোধিতা করি সাম্প্রদায়িকতার। ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা এক নয়। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিভাজনের জন্য ব্যবহার করা হয়"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন